চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে সরিষার আবাদ বেড়েছে ৩৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। গত ১০ বছরে আবাদ বেড়েছে প্রায় চার গুণ। ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি ও চাষে কম খরচ হওয়ায় সরিষার উৎপাদন বাড়ছে। একই সাথে সরিষার জমিতে উৎপাদন করা হচ্ছে সরিষার মধু। এ বছর সরিষার ফলন বাম্পার হবে বলে আশাবাদী কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন, কম খরচে সরিষা আবাদে বেশি লাভ। সাথে উৎপাদনও বাড়ছে অনেক। এছাড়া ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। তিন ফসলি জমিতে চাষ আরও বেড়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, সরিষা চাষ ও উৎপাদন করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এজন্য কৃষককে প্রণোদনাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলার নয়টি উপজেলা ও মহানগরীর দুটি থানায় সরিষার চাষ হয়েছে ৭৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার ২৬২ মেট্রিক টন। গত বছর চাষ হয়েছিল ৪২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেড়েছে।
এবছর গোদাগাড়ী উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। এই উপজেলায় ২২ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এরপরে বাগমারা উপজেলায় ১৮ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে সরিষার আবাদ। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ হাজার ২১২ মেট্রিক টন। তানোর উপজেলার ১০ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। দুর্গাপুর উপজেলায় ৭ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২৭০ মেট্রিক টন। মোহনপুর উপজেলায় ৭ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন। পুঠিয়া উপজেলায় সরিষা চাষ হয়েছে ৫ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ৫ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন। পবা উপজেলায় ৪ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন।