রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মোহনপুর উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)আয়শা সিদ্দিকা, এর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রন বিষয়ে প্রেজেন্টেশন ও উপস্থাপন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জোবায়দা সুলতানা। এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আকতার হোসেন, সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা বেনজির আহম্মেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল ইসলাম,প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) তারিকুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঈদ আলী রেজা, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নুরুল নবী, উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, পরিসংখ্যান অফিসার ফরহাদ হোসেন, একাডেমিক সুপার ভাইজার আব্দুল মতিন, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহাজান আলী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বন্দনা শাহ,
উপজেলা ফায়ার সিভিল সার্ভিস ডিফেন্স অফিসার রফিকুল ইসলামসহ,
উপজেলা সরকারি দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,রাজশাহী জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক স্থানীয় এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক সকল প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদবৃন্দ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণকারিদের উপজেলায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও তামাকমুক্ত করণে সম্ভাব্য করনীয় বিষয়ে ৩ টি গ্রুপে ভাগ করা হয়।ক’ গ্রুপের টপিক ছিল তামাক বিরোধী প্রচার-প্রচারণা,‘খ`গ্রুপের টপিক ছিল তামাক নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট, ‘গ’ গ্রুপের টপিক ছিল পাবলিক প্লেসে ও পাবলিক পরিবহন ধুমপান মুক্তকরণ সম্পর্কে।
বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৫ বিদ্যমান থাকলেও এর প্রয়োগ এখনও সীমিত। তামাকের কোনো উপকার নেই; বরং এটি হৃদরোগ, ক্যান্সার, ফুসফুস ও লিভারজনিত জটিল রোগের অন্যতম কারণ। সমাজ থেকে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা জরুরি।