রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার মহিলা কলেজের আওয়ামীপ্ন্থী অধ্যক্ষ আব্দুর রবের নানা অনিয়মের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই কলেজের ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।বুধবার(১৮ ডিসেম্বর) বেলা বারোটার দিকে নগরীর শিরোইল পুবালী মার্কেটে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহিনুর রহমান লিখিত বক্তব্য বলেন, অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রব আ.লীগের সময়ে কোন পূর্ব অভিজ্ঞতাই ছাড়া নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হোন।এরপর থেকেই নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এছাড়া ২০০২ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত কলেজের টিউশন ফি এর টাকা কোন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে সমবন্টন না করে আত্মসাৎ করেছেন।এ বিষয়ে চলতি বছরের ১২ আগষ্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো জানান, সেচ্ছাচারিতা করে স্নাতক পর্যায়ের খাতা শুধু মাত্র একজন শিক্ষিকাকে দিয়ে নিরীক্ষন করাতেন। শুধু তাই নয় ভূগোল বিষয়ে প্রথম নির্বাচিত প্রভাষক শাহিনুর রহমানকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় নির্বাচিত প্রভাষক রহিদুল ইসলামকে সমন্বয় করে বেতন করিয়েছেন আব্দুর রব। তার অনিয়ম দূর্নীতির ফিরিস্থি এখানেই শেষ নয়,বেতন অনুমদন করানোর অজুহাতে স্নাতক পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় সকল শিক্ষকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অধ্যক্ষ আব্দুর রব।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে তৎকালিন সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা:মুনসুর রহমানকে দিয়ে বেতন অনুমোদনের কথা বলে প্রতিটি শিক্ষকের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা করে হাতিয়ে নেন।সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের ইমেইল আইডি নিজের নামে থাকায় আত্মগোপনে থেকে সেটির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন।এমনকি চলতি বছরের ২৪ সেপ্টম্বর কতৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে গোপনে একটি এ্যাডহক কমিটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদন করে এনে ওই এলাকায় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। তার সকল অপকর্ম থেকে বাঁচাতে স্থানীয় বিএনপি নেতারা সহোযোগীতা করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।এমন পরিস্থিতিতে কলেজের এ্যাডহক কমিটি গঠন ও কার্যক্রম এবং অধ্যক্ষ আব্দুর রবের ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক অনিয়মের সুষ্ঠ তদম্ত করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানান ভূক্তভোগী শিক্ষকরা।