স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রথমবারের মতো ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৭মে) সকাল ১০টায় স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের কনফারেন্স রুমে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও ইনোভেশন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম।
প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, হল ও দপ্তরের ২২টি টিম তাদের বিভিন্ন সেবা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল মাধ্যমে উদ্ভাবন প্রদর্শন করে। অংশগ্রহণকারী ও তাদের উদ্ভাবনের অন্যতম হচ্ছে, সৈয়দ আমীর আলী হল (ইসাবেল স্মার্ট ক্যাটারিং), শহীদ হবিবুর রহমান হল (অনলাইনে সার্টিফিকেট উত্তোলন), অর্থ ও হিসাব দপ্তর (অনলাইনে টিএ/ডিএ ব্যবস্থাপনা), সেন্ট্রাল সায়েন্স ল্যাব (ই-ল্যাব সার্ভিস), পরিসংখ্যান বিভাগ (অফিস অটোমেশন), চিকিৎসা কেন্দ্র (অনলাইন চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাপনা), পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর (পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা), আইন বিভাগ (বিভাগের ওয়েবসাইট ও ডাটাবেজ), ফিশারীজ বিভাগ (বিভাগের কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা), ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস (অনলাইনে এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তি), শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা (মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালার প্রামাণ্যচিত্র তৈরি), প্রকৌশল দপ্তর (ই-টেন্ডারিং), গোপনীয় শাখা (টিচার্স অনলাইন সার্ভিসেস), ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগ (পশুর মাংস সংগ্রহ ও সংরক্ষণ), রাবি গ্রন্থাগার (কোহা সফটওয়্যার ও অনলাইন লাইব্রেরি সার্ভিস), পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ (কো-অপারেটিভ ডিজিটাল ল্যাব ফর কম্পিউটিং এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নিং) ইত্যাদি।
অংশগ্রহণকারী টিমগুলি প্রদর্শনীতে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তাদের উদ্ভাবন সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সৈয়দ আমীর আলী হলের ইসাবেল স্মার্ট ক্যাটারিং চ্যাম্পিয়ন হয়।
শোকেসিং উদ্বোধন করে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যেতে এখনো অনেক পিছিয়ে। তবে আশা করছি, ভবিষ্যতে ভালো করব। ইনোভেশন শোকেসিংয়ের মতো আয়োজন আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা আশা করছি, এবার ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আগের চেয়েও ভালো অবস্থানে উঠে আসবে।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিটি বিভাগ ও দপ্তরকে উদ্ভাবনী চিন্তার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। যদি তাদের নতুন চিন্তা নাও আসে, তারপরও যেন আমাদের সাথে এসে যুক্ত হয়। তারই স্বাক্ষর আজকের এই শোকেসিং। আগামীতে অংশগ্রহণ আরো বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি সেভাবে কাজ না করি, তাহলে আমরা পিছিয়ে পড়বো।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, আজকে বিশ্ব যে জায়গায় এগিয়ে গেছে, আমরা তার থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। প্রযুক্তি যে পরিমাণ এগিয়েছে, আমরা সে পরিমাণ এগুতে পারিনি। আমরা যদি এখনই ঘুরে না দাঁড়াই, এগুলো নিয়ে চিন্তা না করি, তাহলে আমরা ভবিষ্যতে আরো পিছিয়ে পড়বো। অনেক উন্নত দেশ ছোটখাটো বিষয়েও প্রযুক্তি ব্যবহার করে। আমাদেরও সেভাবে অগ্রসর চিন্তায় বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।