সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকার ‘‘দিয়ের খোলা’’ নামক মৎস্য ঘেরে এ সংঘর্ষ হয়।
রামপাল থানা ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে যে, প্রয়াত চেয়ারম্যান খাঁন তায়েব আলীর ছেলে খাঁন সোহাগ আলী আলিপুর গ্রামের (অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য) ইউনুছ গাজীর ছেলে মোঃ ফরিদ গাজী ও অন্যান্য লোকদের জমি লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন মৎস্য ঘের করে আসছে। সোহাগ খাঁন দীর্ঘদিন ঘের করলেও হারীর টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করেন না বলে আহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান। মোঃ ফরিদ গাজী চাকুরি অবসরজনিত কারণে সে এ বছর তার নিজস্ব জমিতে ঘের পাহারা দেওয়ার জন্য ঘর তৈরি করতে একই এলাকার মোল্লা মোয়াজ্জেম হোসেন (বুলু) ও শেখ তৈয়ব আলীসহ কয়েকজনকে নিয়ে তার ঘেরে গিয়ে বাসা তৈরি করতে যায়। এসময় সাবেক চেয়ারম্যান মৃত খাঁন তায়েব আলীর ছেলে খাঁন মুক্ত, খাঁন আনিস, খাঁন রতন, খাঁন সোহাগ আলী ও একই এলাকার মৃত খান শরীফ উদ্দিনের ছেলে খাঁন ফিরোজ, হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে খাঁন আজমুল ও শেখ নোয়াব আলীর ছেলে শেখ ফয়সাল সহ কয়েকজন ফরিদ গাজীর লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ফরিদ, বুলু ও তৈয়েব আলী মারাত্মক জখম হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তৈয়েব শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় এ নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাসের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, এ ব্যপারে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।