ইউনিসেফের তহবিল সংকট: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১২০০ শিক্ষক চাকরিচ্যুত
তহবিল সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির গুরো থেকে ১ হাজার ২০০ শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল-ইউনিসেফ রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে ‘লার্নিং স্কুল’ পরিচালনা করে আসছে।
ইউনিসেফের তহবিলে দেশীয় বেশ কয়েকটি এনজিও প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলগুলো পরিচালনা করে আসছিল। সব মিলিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার বাঙালি ও ৪ হাজার রোহিঙ্গা শিক্ষক। এদের মধ্যে আকস্মিকভাবে ১ হাজার ২০০ বাঙালি শিক্ষককে চাকরিচ্যুতির বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।
বিনা নোটিশে চাকরি হারানোর প্রতিবাদে দফায় দফায় মানববন্ধন /স্মারক প্রধানও দাবি উত্থাপন করার পর সাময়িকীর জন্য শিক্ষা প্রকল্প বন্ধ রাখা হয়।
আজ ১ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার উখিয়া শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক/শিক্ষিকারা।সকাল ৯টা থেকে এই কর্মসূচী পালিত হয় দুপুর ২টা পর্যন্ত। এর পর ওনাদের ইউএনও মহোদয় ডাকেন সাথে ছিলন শিক্ষা প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উখিয়া উপজেলা পরিষদে।
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দাবি দেওয়া হয়েছিল ৩টি তারা সেই দাবি পূরণ করতে পারবে কিনা না সেইটা পরে জানাবে। তারা আরো বলেন যদি এই রকম ঘাটতি হয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যদি ৫-৬ বেতন ছাড়া কাজ করতে পারে তাহলে আমরা বেতন না নিয়ে শিক্ষতা করব। সপ্তাহে ২দিন তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করুক যেখানে বড় পজিশনের কর্মকর্তা থেকে ছোট পজিশনের কর্মকর্তা সবাই কাজের সুযোগ পাবে।
এদিকে ইউনিসেফের তহবিল সংকটের কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৪ লাখ শিশু ও কিশোর শিক্ষা ঝুঁকিতে পড়েছে। নতুন তহবিল সংগ্রহ করা না গেলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম।