কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার গোয়াল গ্রামে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২২ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে সংঘবদ্ধ একদল মুখোশধারী ডাকাত স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষক শাহীন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতের গভীরে হঠাৎ দরজা ভাঙার শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল বাড়ির পেছনের টিনের বেড়া কেটে ভেতরে ঢোকে। এরপর লোহার দরজার তালা ও গ্রিল ভেঙে তারা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে এবং পরিবারের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।
ডাকাতরা ধারালো অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র কোথায় রাখা আছে তা জানাতে চাপ প্রয়োগ করে। পরে তারা ঘরের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি চালিয়ে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নেয়। পুরো ডাকাতি চলে প্রায় আধা ঘণ্টা।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রৌমারী থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরদিন (২৩ জুন) ভুক্তভোগী পরিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনার পর গোয়াল গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় চরম আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। অনেকেই রাত জেগে বাড়িঘরে পাহারা দিচ্ছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় নিরাপত্তাহীনতা চলছে, যা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা দ্রুত ডাকাতদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্তে এটি একটি পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। অভিযুক্তদের শনাক্তে তদন্ত চলছে এবং বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি দ্রুতই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।”