২৭৭ আসনে নৌকার প্রার্থী ১৪ দলের শরীক সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন। আসনটিতে কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীকে প্রথমে নৌকা প্রতীক দেওয়া হলেও জোটের আসন বন্টনের কারনে হাসানুল হক ইনুর জাসদের প্রার্থীকে ছাড় দেয় আওয়ামীলীগ। এই আসনে নৌকার প্রতিপক্ষ্য হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে লড়াই করছেন সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল্লাহ। মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ে যুক্ত আছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ইস্কান্দার মির্জা শামীম।
আওয়ামীলীগের ২ বিদ্রোহী প্রার্থীই জয়ের জন্য আশাবাদী হলেও লড়াই হবে ঈগল এবং নৌকার মধ্যে বলে ধারনা করছেন সাধারন ভোটারগন।
জোটের প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট করার কারন জানতে চাইলে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন আমি ২০১৪ সালে এই আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এই অন্চলের মানুষের প্রধান দাবী নদীতীরে বেড়িবাধ নির্মানে কাজ করে জনগনের ভালোবাসা অর্জন করেছি। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারো নৌকা প্রতীক দিলেও মহাজোটের শরীকদল বিকল্পধারা মহাসচিব অবঃ আব্দুল মন্নানকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে একটি অবাধ,সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করতে কোন দলীয় নিষেধাজ্ঞা না থাকায় এবং দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধে আমি ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে আছি। আমি আশা করি জনগনের ভোটে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো।
ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইস্কান্দার মির্জা শামীম বলেন, এই আসনের তরুন এবং নতুন ভোটারসহ সাধারন জনগনের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এবং নদীভাঙ্গা অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করার প্রত্যয় নিয়েই আমি নির্বাচনে লড়ছি। আমার বিশ্বাস সুষ্ঠু ভোট হলে ট্রাক প্রতীক বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন বলেন আমি আগেও এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলাম। কখনো নিজের কথা না ভেবে জনগনের জন্য কাজ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক দেওয়ায় এই আসনের আপামর জনসাধারন উৎসবমূখর পরিবেশে নৌকার পক্ষে জ্বয়ধ্বনি দিচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে রামগতি- কমলনগরের মানুষ আমাকে বিপুল ভোটে জয়লাব করবে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মহাজোট মনোনীত বিকল্পধারা মহাসচিব অবঃ মেজর আব্দুল মন্নান। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঋণখেলাপীর অভিযোগে তাহার মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন এবং উচ্চ আদালতে আপীল করেও নির্বাচন করার অনুমতি পাননি গতবাবের এই সংসদ সদস্য।
বর্তমানে এই আসন থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ সোলায়মান একতারা প্রতীক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার রকেট প্রতীক এবং মাহমুদা আক্তার তবলা প্রতীক সহ সর্বমোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিধন্ধিতা করছেন।