চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী মারসা পরিবহনের ধাক্কায় জাগির হোসেন (২৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার)দুপুর দেড়টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের বনপুকুর কাজী ফার্মের সামনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি কাজী ফার্মের সামনে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করে। এতে দীর্ঘ সাড়ে ৫ ঘন্টা এই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে সড়কের উভয়পাশে প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। নিহত জাগির হোসেন উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ কালু সিকদার পাড়ার বাসিন্দা আবুল ফজল প্রকাশ ভোলা মিয়ার পুত্র এবং বনপুকুর এলাকাস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত গণশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , কক্সবাজারগামী একটি দ্রুতগতির মারসা পরিবহনের বাস একটি লেগুনা গাড়িকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে খাদে পড়ে যায়।এসময় জাগির হোসেন নামক এক পথচারী গাড়ীর সাথে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে গেলে ওই গাড়ির নীচে চাপা পড়ে যায়। দীর্ঘ ১ ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিস,পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসটি উদ্ধার করে বাসের নীচ থেকে জাগিরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে বাসের নিচে আর কাউকে পাওয়া যায়নি। নিহতের ভাই ফরহাদ হোসেন বলেন,আমার ভাই জাগির বাড়ি থেকে নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে মারসা পরিবহনের ধাক্কায় চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজ বাবুর্চি বলেন, জাগির পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এবং মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ঘটনার সময় সে ঘর থেকে নামাজ আদায় করার জন্য বনপুকুর পাড় মসজিদে যাচ্ছিল। মারসা পরিবহনের নিচে তার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করি। অনেক চেষ্টায় ঘটনার প্রায় দুই ঘন্টা পর গাড়ির নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুবুল আলম দূর্ঘটনায় মুত্যুর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। দূর্ঘটনা কবলিত মারশা পরিবহন ও লেগুনা গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতক চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় যথাযথ আইনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।