দেশের সব জায়গায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া ঠিক হবে না উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার সেসব এলাকায় দেওয়া দরকার, যেসব স্থানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। যেসব এলাকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে, রাজনৈতিক নেতারা নিয়ন্ত্রণ করছেন, সেখানে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে নতুন সমস্যা সৃষ্টি করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না৷ বিষয়টি এ সরকারের পুনরায় বিবেচনা করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের হলরুমে জেলা বিএনপি আয়োজিত স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ের শহীদদের পরিবার এবং আহতদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎ ও সাহায্যকরণ অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি।অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শেখ হাসিনার বিচার চেয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম পাকিস্তানের সঙ্গে, ২০২৪ সালে যুদ্ধ করতে হলো দেশের একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। স্বৈরাচার হাসিনা ২০১২ সাল থেকে আমাদের ওপর নির্যাতন করেছে৷ সাত শতাধিক মানুষকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিঃস্ব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি নির্বাচন চাই৷ আগামীতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও পার্লামেন্ট দেখতে চাই৷ যাতে রাজনীতিবিদেরা কাজ করতে পারেন, রাজনৈতিক অবস্থা ফিরে আসে৷সেইসঙ্গে আন্দোলনে শহীদদের স্বজন ও আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ের শহীদ চারজনের পরিবার ও আহত ২৯ জনকে ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে৷এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।