শাহজাদপুরে হাসি খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা কল্পনা। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার রাত ২টায় শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের সরাতৈল সরকার পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। হাসি খাতুন ওই গ্রামের কৃষক জাকারিয়া হোসেনের (২৫) স্ত্রী, সে এক বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তানের জননী। সে উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের আবু সাঈদ ফকিরের কন্যা। ৩ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। রবিবার সকালে খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক হারিসুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত হাসি খাতুনের ননদ জুলিয়া খাতুন জানান, ভাই ও ভাবির মাঝে কোন ঝগড়া ছিল না। রাতে সবাই একসাথে খাবার খেয়ে শুয়ে পরি। রাত আনুমানিক ২টায় ভাইয়ের চিৎকারে আমরা ঘরে গিয়ে দেখি আড়ার সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ভাবির দেহ ঝুলছে। নিহত হাসি খাতুনের মা সেলিনা খাতুন, বোন খুশি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, নিহত হাসি খাতুনের ৩ বছর আগে জাকারিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যা তৈরি হয়। মূলত হাসির স্বামী জাকারিয়ার সাথে প্রতিবেশী এক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এ মনোমালিন্য থেকেই গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হাসির বাবা-মাকে ফোন করে জানানো হয় হাসি স্ট্রোক করে মারা গেছে। পরে নিহত হাসির পরিবারের লোকজন আসলে গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে থাকা শাহজাদপুর থানার এসআই মোঃ হারিছুর রহমান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ক্যাপ্টেন এম মনছুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে, এই ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।