ফরিদপুরে কলেজ শিক্ষার্থী তুরাগ হত্যা কান্ডের রহস্য উৎঘাটন সহ তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামীরা হলো, শহরের অম্বিকাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের দুই ছেলে কালা রাজন ও মোঃ সাজন, এবং পশ্চিম ভাসানচর গ্রামের আব্দুস ছালাম শেখের ছেলে জুয়েল শেখ।
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেসব্রিফিং এ কথা জানান পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান। পুলিশ সুপার জানান, গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় জেলা শহরে অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ধুলদি গোবিন্দপুরে একটি মেহগনি বাগান থেকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান তুরাগ কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় হত্যাকারীরা তার হাত কেটে নিয়ে যায় ও উল্লাস করে।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা আলাউদ্দিন হাওলাদার বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আসামী জুয়েল কে রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে অপর আসামী দুই ভাইকে রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর কোনাবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় অপর পলাতক আসামী শাহিনের বাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুটি রাম দা উদ্ধার করে পুলিশ।
মাদকের কারবার ও টাকা পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে মামলার পলাতক আসামী তুষারের সাথে নিহত তুরাগের দীর্ঘ দিনের বিরোধ ছিল। এছাড়া এবছর শুরুর দিকে তুরাগ এই মাদক ব্যবসার লেনদেন নিয়ে তুষার কে কুপিয়ে জখম করে। এরই প্রতিশোধ নিতে তুরাগ কে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। তার কয়েক মাস পরে কৌশলে ডেকে নিয়ে তুরাগ কে ঐ দিন হত্যা করে।
আটক আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। পরে তাদের কে আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়া অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান বলেও জানান এই কর্মকর্তা। সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সালাউদ্দিন আহমেদ, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম.এ. জলিল সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।