শিবগঞ্জের শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ি হতে বিনোদপুর ইউনিয়নের খাকরাটোলার মোড় পর্যন্ত ১৬ কোটির অধিক টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা পুর্ণনির্মানে ব্যাপক অনিয়মের প্রতিবাদে জনগণ বাধা দিয়েও বন্ধ হচ্ছে না কাজের অনিয়ম।এমনকি বৃষ্টির মাঝে কাজ করতে দেখা গেছে।বিটুমিন দেয়ার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে দিলেও সম্পূর্ন রাস্তায় বিটুমিন দিচ্ছে না। পরিমিত পিচ না দিয়ে কম দিচ্ছে।গত ওই এলাকায় এক সপ্তাহে কয়েকবার সরজমিনে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।শাহাবাজপুর ইউনিয়নের নামো চাকপাড়া গ্রামে গিয়ে স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার,স্থানীয় দোকানদার হারুন একই গ্রামের সাদিকুল ইসলাম,৭/৮জন জানান রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। যে পরিমান রাস্তায় পিচ দেযা হয়েছে সে পরিমান রাস্তায় কোন বিটুমিন দেয়নি। তারা আরো জানান, রাস্তার কাজ খুবই নি¤œমানের খুয়া,বালু ব্যবহার করা হয়েছে।গত শনিবার বৃষ্টির মাঝেও কয়লাবাড়ি এলাকায় জোড়াতাড়ি দিয়ে কাজ হয়েছে।বৃষ্টির মধ্যেও বিটুমিন দেয়ার পানিতে ধুয়ে গেছে। যেখানে রাস্তায় পিচ দেয়া হয়েছে সে গুলো সামান্য আঘাত পেলেই উঠে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দেও অভিযোগ। রাস্তার কাজে অনিয়ম করায় গত সোমবার উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের নামো চকপাড়া গ্রামে রাস্তায় বিটুমিন না দিয়েই পিচ দেয়ার কাজ শুরু করলে স্থানীয় জনগণ কাজে বাধা দিয়েছিল স্থানীয় জনগণ।তারা জানানা এখনো রাস্তায় যে ৪/৫টি ছোট ছোট ভাঙ্গা কালভাট আছে সে গুলো মেরামত না করে ভরাট দিয়ে পূরণ করে দিয়েছে। কোন স্থানে রাস্তার প্রশস্ত কম আছে। রাস্তার মাঝে প্রায় ১০-১২টি গাছ থাকলেও এ পর্যন্ত কাটা হয়নি। গত সোমবার কাজ করা সময় অনিয়মের অভিযোগ কাজে বন্ধ করা জনগণের মধ্যে নামো চকপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার ,মাসুম,মুকুল,তারিক দুলাল উদ্দিন,পারুল বেগম,মেরিনা বেগম সহ প্রায়৫০/৬০ নারী পুরুষ একই কথা বলেছিলেন।স্থানীয়দেও ক্ষোভ সাইডে দেখাশুনা করা এল জি ই ডি অফিসের কর্মকতা আব্দুল হাকিম ও সরোজের ওপর।তারা জানান এ দুইজন জনগণের দাবীর কোন মূল্যয়ন করছে না।এব্যাপারে আব্দুল হাকিম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি ভিত্তিহীন। তবে সরোজ বলেন শতভাগ নিয়ম মেনে কাজ করা সম্ভন নয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আব্দুল মান্নান জানান,বিটুমিন না দিয়ে রাস্তায় পিচ দেয়ার প্রশ্নই উঠে না।তবে সেটা দেয়ার পর বৃষ্টি হওয়ায় অনেকটা ধুয়ে গেছে। তাই চোখে পড়ে না। ১৩কিলোমিটার রাস্তায় মোট চারটি ছোট ছোট কালভাট ভেঙ্গে গেছে। তা অবশ্যই পুন:নির্মাণ করা হবে।শাহাবাজপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ির সামন থেকে দক্ষিণে প্রায় ৪২০ মিটিার রাস্তা প্রশস্থ করনে জটিলতার কারণে কাজ বন্ধ আছে। অতি শীঘ্রই সেই সমস্যার সমাধান হবে।রাস্তার মধ্যে গাছ কাটার এখতিয়ার আমাদের নেই। বন বিভাগকে জানানো হয়েছে। আশা করি তড়াতাড়ি টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলি কেটে নেয়া হবে।শুধু তাই নয়, রাস্তার কাজ শেষ করার পর আরো দুই বছর আমাকে রাস্তার দেখাশুনা করতে হবে।শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো.হারুন অর রশিদ বলেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আজাহার আলি বলেন রাস্তার কাজে অনিয়ম ব্যাপারে দ্রæত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।