বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ময়মনসিংহ মহানগরী আমীর,আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ সংসদীয় আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেছেন-শিবির ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং সৎ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করছে। শিবির যে উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে, গোটা জাতি সেই একই উদ্দেশ্যের সাথে একমত পোষণ করায় ২৪শে’র ৫ আগস্টের মতো বিরাট বিজয় সম্ভব হয়েছে। দেশের মানুষ এখন দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজি মুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত একদল সৎ, দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব চায়। আর ছাত্রশিবির সেই যোগ্য নাগরিক তৈরির একমাত্র প্ল্যাটফর্ম।তিনি বলেন-২০২৪ এর ছাত্র জনতা এদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও তাদের কোনো দাদাগিরি আর মানবে না। কেউ কালো হাত বাড়ালে এদেশের ছাত্রসমাজ সেই হাত ভেঙে গুড়িয়ে দিতে আর দ্বিধা করবে না।
শুক্রবার (১১জুলাই) সকালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ময়মনসিংহ মহানগরী শাখার ষাণ্মাসিক রিপোর্ট পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন-সংগঠনটির গত ছয় মাসের কার্যক্রমের একটি বিস্তারিত হিসাব-নিকাশ ও মূল্যায়ন করে সাংগঠনিক অবস্থা আরো শক্তিশালী করতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও কর্মীর পারফরম্যান্স তৈরী করা। যাতে করে সংগঠনের শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়। এই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের কাজের অগ্রগতি পরিমাপ করে এবং ভবিষ্যতের জন্য কৌশল তৈরি করে এই পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ তাদের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতে এগিয়ে যাবে।
ছাত্রশিবিরের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিবিরের উচিত প্রত্যেক পাড়া-মহল্লার প্রতিটি বাড়ির ফ্ল্যাটে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। বর্তমান ছাত্র সমাজের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে। শিবিরের সকল সদস্যকে হতে হবে জ্ঞানপিপাসু, কর্মসহিষ্ণু, ত্যাগ-কুরবানিতে অগ্রগামী, নিয়মানুবর্তী এবং সময়ানুবর্তী। তাহলেই একদিন এদেশে ইসলামের রাজ কায়েম হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্রশিবিরের সদস্যদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আধিপত্যবাদী শক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ছাত্র সমাজকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।
ছাত্রশিবির ময়মনসিংহ মহানগর আয়োজিত এই
ষাণ্মাসিক রিপোর্ট পর্যালোচনা বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।