1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষ্মীপুর গ্রামের সাকির, পিতা: ফকির নামে এক গাছি রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করছেন খেজুরগাছ কেশবপুরে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ টাঙ্গাইলে মির্জাপুর সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ইসকনের কার্যক্রম বন্ধ ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ চট্টগ্রামে নিহত এডভোকেট সাইফুল ইসলাম হত্যা ও ইসকনের নিষিদ্ধের দাবিতে মধুপুর আলোর ছাত্রী সমাবেশ করেন তিনি ছাত্র জনতা টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় উগ্রবাদী ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। যশোরে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত লাখাইয়ে প্রাইমারি বিদ্যালয়ের প্রশ্ন তৈরিতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পথভোলা মানুষকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই মাহফিল প্রতিষ্ঠা হয়েছে : চরমোনাই পীর

শীতে চরাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত

মোঃআহসান হাবীব
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে
তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াযান নদী বেষ্টিত লালমনিরহাটে টানা ২১দিনের ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীতের প্রভাব পড়ছে এ জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে। বিশেষ করে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষররা কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তুলনামূলক বেশি।

শনিবার সকালে লালমনিরহাটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে এই ঠাণ্ডায় জবুথবু লালমনিরহাটের জনজীবন। জেলার বিভিন্ন স্থান ও চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে রাস্তাঘাট। আর হিমেল হাওয়া থাকায় কনকনে ঠাণ্ডায় প্রয়োজন ব্যতিত ঘর ছাড়েন অধিকাংশরা। তবে জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চর শৈলমারীর বাসিন্দা বাবলু মিয়ার(৪২) সাথে টান্ডার প্রকোপ নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে চরাঞ্চলের শ্রমজীবীদের বর্তমানে সবচেয়ে বেশি কষ্ট। কুয়াশা আর বাতাস চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ভোগান্তি কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়। চরের নিম্ন আয়ের মানুষের দুএকজন কম্বল পেলেও অধিকাংশরাই কম্বল পাননি।

একই উপজেলার কাকিনার ইসরকুলের বাসিন্দা সাজু মিয়া(৩৫) বলেন, হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যেই শ্রমজীবীরা মাঠে কাজ করছে। অনেকেই শীত নিবারনের জন্য সাময়িক ভাবে খড়কুটো জালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরেই আবার কাজ শুরু করছে তারা।

জেলার সদর উপজেলার হরিণ চওড়া চরের বাসিন্দা চরের জমিতে কাজ করতে থাকা আব্দুল আউয়াল(৫৫) বলেন, এখনো কম্বল পাইনি। কাজ করার সময় হাত কাজ ঠিক মতো করছে না। আর রাতে অধিক বাতাসে চরের বাড়ি ঘরে হুহু করে বাতাস ঢোকে। এতে ঘুমটাও শান্তি হয়না।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ পাচ উপজেলায় এরই মধ্যে ৬০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৫০ হাজার কম্বলের চাহিদা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।

তবে ঠান্ডায় কাহিল মানুষদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত কম্বল যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জেলার সচেতন মহল। চরাঞ্চলসহ জেলার পাঁচ উপজেলার শীতার্ত অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান তাদের।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com