বরাবরের মতো তীব্র শীত অপেক্ষা করে নরসিংদীর মনোহরদীতে বোরো ধান আবাদ করছেন কৃষকরা।জমিতে সেচ,হালচাষ,সার প্রয়োগ,বীজ উঠানো ও প্রস্তুতকৃত জমিতে ধানের চারা রোপণে কর্মতৎপরতা শুরু করেছেন নরসিংদীর মনোহরদীর কৃষকরা।সকালের কুঁয়াশা ঢাকা শীত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা অবধি বোরো জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে,কৃষকেরা পাওয়ার টিলার,ট্রাক্টর ও মইয়ের সাথে কলাগাছ জুড়ে জমি আবাদের উপযোগী করছে।কেউ কেউ জমিতে কোদাল দিয়ে আইল ছাঁটছেন আবার কেউ কেউ জমিতে জৈব সার দিতে ব্যস্ত রয়েছেন।পরিপূর্ণ শীতে মাঘ মাসের শুরু থেকেই মনোহরদী অঞ্চলে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়ে থাকে।গত আমন ধানের দাম ভালো পাওয়ায় প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেই ভালো দাম পাওয়ার আশায় আল্লাহর উপর ভরসা করে কৃষকেরা জমি তৈরীসহ নানা কার্যক্রম শুরু করেছেন।খিদিরপুর অঞ্চলের কৃষক লাল মিয়া জানান,বোরো ধান রোপণে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়।তিন-চার দিন পরপর সেচ দিয়ে পানি দিতে হয়।আশা করা যায় বোরো ভালো আবাদ হলে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবে।
মনোহরদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,এ বছর উপজেলায় ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৮ হেক্টর জমিতে।যা গত বছরের চেয়ে ২৮ হেক্টর বেশী।অনুকূল আবহাওয়া থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৮ হাজার ১২০ মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুনা আক্তার জানান,লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬০ ভাগ জমিতে বোরো আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যে বাকী আবাদ সম্পন্ন হবে।গত আমনের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং পাশাপাশি উৎপাদিত ফসলের বাজার মূল্য ভালো পাওয়ায় এবার কৃষকেরা উৎসাহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছেন।উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক কৃষকদের বোরো চারা রোপণ করাসহ বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।শীতের কারণে ফসল ও বীজতলার তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রভাব পড়ারও সম্ভাবনা নেই বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা