গাজীপুরের শ্রীপুরে চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এসএসসি (ভোকেশনাল) পরিক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়েছে দুই শিক্ষার্থী । অতঃপর তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । আটককৃত দুই শিক্ষার্থীসহ কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার(৬ মে) দুপুরে উপজেলার শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন, জুনায়েদ আহমেদ সাগর (২২) শ্রীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লোহাগাছ গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে। তিনি আদর্শ কারিগরি স্কুল এন্ড কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট এর এসএসসি ভোকেশনাল পরিক্ষার্থী মো. রানা মোল্লার পরিবর্তে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। রানা মোল্লার রোল নাম্বার ৭০৭৫৬৫, রেজিষ্ট্রেশন ২৭০১৫৬৭৫৩৬। ও মো. মামুন (২১) শ্রীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি একই প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরিক্ষার্থী হাইয়ুল ইসলাম শাহজাহানের পরিবর্তে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। যার রোল নাম্বার ২৩৫৫৬২, রেজিষ্ট্রেশন ২৭০১৩৯২২৬৩।
এসএসসি ভোকেশনাল পরিক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব শাহানা পারভীন বলেন, পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে একজন শিক্ষকের দক্ষতার দুই শিক্ষার্থীকে আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি। রেজিষ্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র স্কেন করে তাদের ছবি বসিয়ে দেয়ার কারণে তাদের দুজনকে সহজে ভুয়া পরিক্ষার্থী বলে সনাক্ত করতে পারিনি। একজন কক্ষ পরিদর্শকের বিচক্ষণতায় তাদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। অভিযুক্ত ভুয়া পরিক্ষার্থী মামুন বলেন, পারিবারিক ভাবে অর্থ সংকটে আছি। পরস্পর পরিচয়ের মাধ্যমে ৫ হাজার নগদ টাকা পেয়ে পরিক্ষায় অংশ নেই। পরিক্ষা শেষে আরও কিছু টাকা দেয়ার কথা ছিলো। আজ পর্যন্ত আটটি পরিক্ষা দিয়েছি।
অভিযুক্ত পরিক্ষার্থী জুনায়েদ আহমেদ সাগর বলেন, কিছু টাকার চুক্তিতে রানা মোল্লার পরিবর্তে এসএসসি ভোকেশনাল পরিক্ষা দিয়েছি। অগ্রিম ৫ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকি পরিক্ষা শেষ হলে আরও কিছু টাকা পাবো। শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ এসএসসি ভোকেশনাল ট্রেড-২ বিষয়ের পরিক্ষা চলছিলো। পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দ্র পরিদর্শকরা অনুসন্ধান করে দুজন ভুয়া পরিক্ষার্থী চিহ্নিত করে। বিষয়টি জানানোর পরপরই আমি সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে আসি। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।