শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের যৌথ উদ্যোগে স্যাটেলাইট ক্লিনিক এবং হেল্থ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুন ২০২৪) সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের প্রকল্প সমন্বয়কারী ও অফিস ইনচার্জ পারভেজ কৈরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় হুগলিয়া চা বাগান নাটমন্দির প্রাঙ্গণে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ জাকি।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য সহকারী মো. আব্দুল কাদির, হেল্থ সুপারভাইজার মো. সোহেল মিয়া, এফডাব্লিউবি পরিদর্শিকা অনামিকা পাল, পরিবার কল্যাণ সহকারী শিপ্রা চক্রবর্তী, পরিদর্শক ললিত দাশ ও সাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দুলাল বুনার্জী প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের দাবী করে সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে নীতিনির্ধারক, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী, শিক্ষাবিদ, সরকারী সংশ্লিষ্ট দপ্তর, রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
সভাপতির বক্তৃতায় চা বাগানের নারী ও কিশোরীদের যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে, এবং নারী ও কিশোরীদের জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা হ্রাস করার জন্য চলমান বিভিন্ন প্রশিক্ষন বিষয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের প্রকল্প সমন্বয়কারী ও অফিস ইনচার্জ পারভেজ কৈরী বলেন, “ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স ও দাতা সংস্থা অক্সফাম বাংলাদেশ-এর সহায়তায় Increasing tea garden women workers and Adolescent girls Sexual and reproductive Health rights (WASH) নামক প্রকল্পটি এনজিও ব্যুরো কর্তৃক মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ এবং মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৭টি চা বাগানে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাস্তবায়িত করা হয়েছে।
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধে চা বাগানের নারী শ্রমিক ও কিশোরী মেয়েদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানো এবং নারীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক অধিকার নিশ্চিত করা এবং সমাজে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা।”