নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ৭নং শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদে খয়রাতি চাল বিতরনে অনেক অনিয়ম লক্ষ করা যায়।গ্রামের দুংস্থ ও অসহায় গরীব মিসকিন থেকে খয়রাতি চাল দেওয়ার নামে আই,ডি কার্ড সংগ্রহ করেন প্রতিনিধিগণ এবং বলেছেন নির্ধারিত তারিখে ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরন করা হবে।গ্রামের সহজ সরল মানুষ প্রতিনিধিগণের কথার উপর ভিত্তি করে চাল নিতে গেলে পরিষদ কর্তৃপক্ষ বলেন যার নাম নাই তাকে দেয়া হবেনা।একজন বৃদ্ধা মহিলাকে সংবাদকর্মী সাক্ষাৎকার নিলে তিনি বলেন যদি তারা আমাকে চাল নাই দেয় তাহলে এই পবিত্র মাসে রমজানের রোজা রেখে এত কষ্ট করে আসার দরকারই ছিলো না। নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ সাধারণ সম্পাদক বলেন আমার হাতে যতখানি আই,ডি কার্ড জমা নিয়েছে সচিব সাহেব তার ১০% চালও দেয়া দেননি।৯নং ওয়ার্ড এর যতগুলো কার্ড গরীব অসহায় মানুষের কার্ড জমা দিয়েছি একজন ও খয়রাতি চালের আওতায় আসেন নি।তাহলে এই কি পেলাম স্বাধীনতা। আমাদের বুঝা উচিৎ গরীব অসহায় মানুষের কোন দল নেই।তারা যেখানে সুবিধা পাবেন তারা সেদিকেই যাবে এটাই স্বাভাবিক। কারন তাদের পেটের ক্ষুধা তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াই।এটাতো আর পরিপূর্ন ইসলামী রাষ্ট্র নয় যা বায়তুল মাল থেকে গরীবদের মাঝে বিলানো যায়।যদি আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ পরিপূর্ণ রাষ্ট্র উপহার দিতে পারতাম তাহলে মানুষ না খেয়ে আহাজারি করত না।চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে আমার অনুরোধ আপনি সঠিক দুঃস্থ ও অসহায় মানুষ বিচার করে খয়রাতি চাল বিতরণ করবেন। অন্তত সরকার বাহাদুরের এই খয়রাতি চাল নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব এড়িয়ে যারা আসলেই পাবার যোগ্য তাদেরকে চিহ্নিত করে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিৎ বলে মনে করছেন এলাকার জনহিতৈষী ব্যক্তিবর্গ।পবিত্র রমজান মাসে পবিত্রতা থেকে নিজ দায়িত্ব নিজ নিজ পালন করেন তাহলে দেশ একদিন হয়ে উঠবে সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ।