ছাত্রসমাজের আদর্শিক পুনর্জাগরণ ও সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছাত্রশিবির গাছা পূর্ব থানা, গাজীপুর মহানগর শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ষান্মাসিক সাথী সমাবেশ ২০২৫।
সমাবেশটি ছিল প্রগতি ও পর্যালোচনার মেলবন্ধনে গড়া এক সাংগঠনিক মিলনমেলা।
সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির গাজীপুর মহানগরের সেক্রেটারি জাকির হোসাইন।
তিনি তাঁর বক্তব্যে সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণে মূল্যবান নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন,
“যে গতিতে আমরা এগুচ্ছি তা সন্তোষজনক, তবে সামনে রয়েছে আরো বৃহৎ লক্ষ্য। আদর্শিক দিক, সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনসম্পৃক্ততা—এই তিনটি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাছা থানার নায়েবে আমির মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন,
“এই সমাবেশ শুধু একটি সময়কালীন আয়োজন নয়—বরং এটি একটি চিন্তা, একটি প্রস্তুতি, একটি প্রতিজ্ঞার মুহূর্ত। আমাদের প্রত্যেককেই নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দিয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হবে।”
আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন রিপন।
তিনি বলেন,
“আমাদের সাহিত্য ও বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে। চিন্তা ও কলম—এই দুইয়ের সমন্বয়ে যদি আমরা অগ্রসর হই, তবে আদর্শের বাণী ছড়িয়ে দিতে পারব সর্বত্র।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রশিবির গাছা পূর্ব থানার সভাপতি হাসান আলী।
তাঁর সঞ্চালনায় পুরো সমাবেশ হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও সুশৃঙ্খল।
তিনি বলেন,
“আমরা বিগত ছয় মাসে অনেক কাজ করেছি, তবে এখন সময় নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর। প্রতিটি ওয়ার্ড, উপশাখা এবং থানার প্রতিটি কর্মী যেন দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে এগিয়ে যায়, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
এই সমাবেশে গাছা থানার আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ড শাখা, উপশাখা ও থানার শাখা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিটি ইউনিট তাদের নিজ নিজ ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের রিপোর্ট উপস্থাপন করে।
তাদের কর্মকাণ্ডের তুলনামূলক বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ করা হয়।
বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যায়, সংগঠনের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি, পাঠচক্র আয়োজন, জনসংযোগ কার্যক্রম, সেবামূলক উদ্যোগ এবং মিডিয়া কার্যক্রমে লক্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে।
সমাবেশে সাংগঠনিক বিভাগ থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়—
বিশেষ করে শিক্ষা ও দাওয়াহ্ খাতে আরো জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ, সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নে ট্রেনিং আয়োজন, সময়নিষ্ঠ রিপোর্টিং ও তথ্যভিত্তিক কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এই সমাবেশে উঠে আসে এক নতুন চেতনা, নতুন সংকল্প—
“আদর্শিকভাবে শুদ্ধ, সাংগঠনিকভাবে মজবুত এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য এক কাঙ্ক্ষিত কাঠামো গঠনের পথে ছুটে চলা।”
ছাত্রশিবির গাছা পূর্ব থানার এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
সমাবেশটি প্রমাণ করেছে—নিয়মিত মূল্যায়ন ও পরিকল্পনামূলক অগ্রসরতার মাধ্যমেই গঠনমূলক নেতৃত্ব গড়ে তোলা সম্ভব।
ছাত্রশিবির গাছা পূর্ব থানা, তাদের আগামী দিনের পথে
আরো শৃঙ্খলিত, ঐক্যবদ্ধ ও কর্মমুখর হয়ে এগিয়ে যাবে—এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।