ফেনী জেলা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে (সওজ) কার্যরত সহকারি প্রকৌশলী কামাল উদ্দীনকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে চলেছে উত্তেজনা। বছরের পর বছর প্রভাব খাটিয়ে তিনি ফেনী সওজকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামাল উদ্দীন নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গাছ কেটে অবৈধভাবে বিক্রি, সওজের রাস্তা কেটে ব্যক্তিগত পাইপলাইন, পানি ও গ্যাস সংযোগ স্থাপন এবং মালিকপক্ষ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায় করেছেন। এছাড়া সহকারি প্রকৌশলী আবদুল বাতেনের সঙ্গে মিলেমিশে মেইনটেন্যান্সের নামে ভুয়া বিল ও ভাউচার দেখিয়ে সওজের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সড়ক বিভাগের জায়গা ভুয়া ইজারার মাধ্যমে টাকা আদায় এবং সওজের বিভিন্ন ক্রয়ের সঙ্গে দুর্নীতি—এসব অভিযোগে বহু বার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এদিকে, দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় গত ২১ আগস্ট অধিদপ্তর থেকে প্রধান প্রকৌশলী কামালকে অন্যত্র বদলি করা হয়। কিন্তু বদলির আদেশ কার্যকর করতে না পারায় এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্ট্যান্ড রিলিজ আটকে রাখায় তিনি এখনও ফেনী সওজে বহাল আছেন।
ফেনী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা জানিয়েছেন, “কামালকে বহু আগে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু স্ট্যান্ড রিলিজ না পাঠানোয় তিনি এখনো স্বপদে রয়েছেন। আমি কাউকে চাকরি ত্যাগের জন্য বাধ্য করতে পারি না।”
অন্যদিকে, কামাল উদ্দীন নিজের অবস্থান নিয়ে বলেন, “আমি যক্ষা, হাইপ্রেশার, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। চাকরির মাত্র দেড় বছরের বেশি সময় বাকি রয়েছে। তাই ফেনী ছাড়তে পারছি না।”
ফেনী সড়ক বিভাগের কর্মীরা কামালের বদলিতে উল্লাস প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, কামাল নিজেকে রাজনৈতিক দলের নেতা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ এক বছর ধরে সওজে নানা অপকর্ম ও হেনস্থা চালিয়েছেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে কামাল উদ্দীনকে ফেনী সওজ থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ প্রদান করা হোক।
উক্ত অভিযোগ উঠা ব্যক্তির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন খতিয়ে দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন,
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সয়হাতা প্রদানকারী সংস্থা ফেনী জেলা জোন পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিভাগ পরিচালক।