রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মো. মাহতাব (১৪) নামের শিশুটির শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। শরীরের প্রায় শতভাগ পুড়ে গেছে মো. তানভীর (১৪) নামের আরেক শিশুর।
শুধু মাহতাব কিংবা তানভীর নয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে অনেক শিশু শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ অন্তত ৫১ জন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দগ্ধদের বেশির ভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়ে, আজ সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়ন করে। সেটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, দগ্ধদের মধ্যে ৩৮ জনের শরীর পুড়ে গেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দগ্ধ হয়েছে ১৫ শিশু। এ ছাড়া ৯ জন নারী ও ১৪ জন পুরুষ। দগ্ধদের মধ্যে এ বি শামীম (১৪) ৯৫ শতাংশ, সায়েন ইউসুফ (১৪) ৯৫ শতাংশ, শামীয়া (১০) ২৫ শতাংশ, মাহিয়া (১৫) ৫০ শতাংশ, নাফিজ (৯) ৯৫ শতাংশ, মাসুকা (৩৭) ৮৫ শতাংশ, বাপ্পী সরকার (৯) ৩৫ শতাংশ, মাহরিন (৪৬) শতভাগ, মাসুমা (৩২) ৬০ শতাংশ, আফনান ফায়েজ (১৪) ৯৫ শতাংশ, মনতাহা (১০) ৫ শতাংশ, রূপি বর্ণ (১০) ৬ শতাংশ, জায়ানা (১৩) ৮ শতাংশ, শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম (৩৭) ১৫ শতাংশ, ইশা (১১) ৬ শতাংশ, পায়েল (১২) ১০ শতাংশ, তাসনিয়া (১০) ৫ শতাংশ, কাব্য (১৩) ২০ শতাংশ, জাকির (৫৫) ৫ শতাংশ, সায়েবা (৯) ১৬ শতাংশ, তৌফিক (১৩) ৯ শতাংশ, নিশি (২৪) ১৩ শতাংশ, আলভিরা (১০) ৫ শতাংশ, নুসরাত (১২) ৬ শতাংশ, জুনায়েদ (১২)১৪ শতাংশ, শ্রেয়া (৯) ৫ শতাংশ, শিক্ষক সুমাইয়া লরিন (৩০) ১৫ শতাংশ, কাফি আহমেদ (১০) ১০ শতাংশ, আয়াত (১৪) ১২ শতাংশ, লিমন (১৭) মাথায় দগ্ধ, রোহান (১৪) ৫০ শতাংশ, আবিদুর রহমান (১০) ২০ শতাংশ, আয়ান (১৪) ৪০ শতাংশ, আরিয়ান আফিফ (১২) ৩৫ শতাংশ, মকিন (১৫) ৬২ শতাংশ, সায়েমা (৯) ৮ শতাংশ ও মেহেরিনের (১১) শরীরের ৪ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেলা ১টা ১৮ মিনিটে এ দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। মাইলস্টোন কলেজে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। তাদের ইউনিটগুলো পৌঁছায় বেলা ১টা ২২ মিনিটে। উত্তরা, টঙ্গী, পল্লবী, কুর্মিটোলা, মিরপুর ও পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের ৯ ইউনিট উদ্ধারকাজ পরিচালনা করে।