সরকারি ইজিপিপি কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে রাস্তা কেটে বিচ্ছিন্ন
শামীম আহমেদ
-
প্রকাশের সময় :
বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
-
১২০
বার পড়া হয়েছে
কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের আশুজিয়া গ্রামে সরকারি ইজিপিপি (অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে) বাঁধা দিয়ে সর্বসাধারণের চলাচলের রাস্তার একটি অংশে কোদাল দিয়ে কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জনগণ ভোগান্তির শিকার হওয়ায় এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজান বিরাজ করছে।
জানা যায় কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের আশুজিয়া গ্রামের (দাওরাট পাড়ায়) চলাচলের একটি রাস্তা সংস্থারের জন্য আশুজিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় একটি কর্মসূচি কাজ শুরু করে। কিন্তু সরকারি ওই কর্মসূচিতে বাঁধা দিয়ে শ্রমিকদেরকে উঠিয়ে দিয়ে চলালের ওই রাস্তাটি কোদাল দিয়ে কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয় আশুজিয়া গ্রামের (বড়বাড়ি) মৃত আনফর আলীর ছেলে নওশের আলম বাবুল, রহিছ মিয়া ও হক মিয়া গংরা। গত ১৪ জানুয়ারি সকাল অনুমান ১১টার দিকে শ্রমিকরা রাস্তায় মাটি কাটতে গেলে তাদেরকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয় নওশের আলম বাবুল গংরা। এ ঘটনায় আশুজিয়া গ্রামের (দাওরাট) মৃত কিতাব আলীর ছেলে বাবুল মিয়া কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি তার অভিযোগে বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ফিশারীর উৎপাদিত মাছ ও হাওরের ফসল পরিবহণ করে বাজারজাত করণের রাস্তা এটি। কিন্তু প্রতিহিংসাবসত নওশের আলম বাবুল ও তার লোকজন জোর আমলে রাস্তাটি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় তারা ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন দিয়া চলাচল করতে পারছেন না। এতে তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
আশুজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলী জানান, জনগণের চলাচল ও বিভিন্ন পণ্য পরিবহণের সুবিধার্থে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় একটি কর্মসূচি দিয়েছিলাম। কিন্তু নওশের আলম বাবুল গংরা কাজ বন্ধ করে দিয়ে রাস্তাটি একটি অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ১৭ জানুয়ারি তার কার্যালয়ে একটি শুনানি গ্রহণ করেন। পরে তিনি বদলি হয়ে চলে যাওয়ায় এ বিষয়ে আর কোন প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
৩১ জানুয়ারি বুধবার সরেজমিনে গেলে নওশের আলম বাবুল রাস্তা কেটে ফেলায় ও কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ার কথা শিকার করে বলেন, এখানে কোন সরকারি রাস্তা নেই। এই জায়গা আমার মায়ের নামে দলিল ও বিআরএস রেকর্ড আছে। ৩/৪ বছর আগে একটি ইট ভাটার লোকজন গ্রামের লোকদের কাছ থেকে মাটি কিনে নেওয়ার জন্য এই রাস্তাটি কিছুদিনের জন্য করেছিলেন। কথা ছিল মাটি নেওয়ার পর তারা নিজেরাই রাস্তাটি বন্ধ করে দিবেন। কিন্তু তারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি। এখন আমার ব্যক্তিগত জায়গা দিয়ে কেন সরকারি কর্মসূচি দিল। এই কর্মসূচি দেওয়াতে আমি রাস্তা কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি। আমি রাস্তা কেটে ফসলি জমি বানাবো।
এ বিভাগের আরো সংবাদ