জামালপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপি কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত বলেছেন, ইউনুস সরকারকে বলতে চাই আপনার অন্তরে, ভিতরে আপনার উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগের দোসর রয়েছে তাদের বের করুন। আওয়ামী লীগের সাথে, ফ্যাসিস্টদের সাথে যাদের আতাত রয়েছে তাদেরকে ধরে ধরে এখনই জেলে ভরে দিন। যাতে করে আর কোনদিন এই দেশে ফ্যাসিস্টের উৎপত্তি না হয়, আর যেন ফ্যাসিবাদ মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের পুরাতন ফুলবাড়িয়া ঈদগাহ মাঠে আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে জামালপুরের নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসি তাহলে নিহতদের নামে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাটের নামকরণ করা হবে। তাদের পরিবারের দায়ভার আমরা বিএনপি পরিবার নামে সংগঠন নিবে। তাদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনদের চাকরি দেয়া, শিশুদের দায়িত্ব আমরা নিব। এর পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে পদার্পন করবেন তখন জাতীয়তাবাদী শক্তি মিলে একটি ঐক্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চান। বাংলাদেশকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করতে চান। তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, একাত্তর সালে স্বাধীনতা অর্জন করেও স্বাধীনতা ভোগ করতে পারিনি শেখ মুজিব ও তার কন্যার জন্য। শেখ হাসিনা বিগত ১৫ বছরে রাষ্ট্রকাঠামোসহ সমস্তকিছু ভেঙে দিয়েছেন। রাষ্ট্র ভেঙে দিয়ে হত্যা, গুম, খুন, রাহাজানি, লুটতরাজ করে গিয়ে ভারতে বসে তিনি আবার ষড়যন্ত্র করছেন আমাদের বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য। এই অশান্ত করার পায়তারা যদি আরও বাড়িয়ে দেন তাহলে গত ৫ই আগষ্টের চেয়েও বড় কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ও সরকারের আইনজীবী যারা রয়েছেন তাদের বলতে চাই স্বৈরাচারের দোসর যারা জেলে আছেন তারা যেন জেল থেকে বের হতে না পারে। পুলিশকে বলতে চাই প্রত্যেকটি দোসরকে খুজে খুজে বের করে জেলে ভরতে হবে। আমাদের উপর যে অত্যাচার, নির্যাতন করা হয়েছে তার বিচার না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দিব না।আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মিথুন, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুন, কেন্দ্রীয় বিএনপির জলবায়ূ বিষয়ক সহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। পরে ১৭ জন নিহতের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।