দীর্ঘ ষোলো বছরের রাজনৈতিক দমন-পীড়নের অবসান এবং ২০০৯ সালের ঐতিহাসিক ৩৬শে জুলাই (৫ আগস্টের সমতুল্য তারিখ) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতন দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মসূচির ধারা
সোমবার বিকেলে সাটুরিয়া উপজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বিজয় মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অংশগ্রহণকারীরা হাতে দলীয় পতাকা ও বিভিন্ন শ্লোগানসংবলিত ব্যানার বহন করেন। শহীদদের স্মরণে মিছিল শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
নেতৃত্ব ও উপস্থিতি
কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মানিকগঞ্জ-৩ আসনের ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী, বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—
আব্দুল কুদ্দুস খান মজলিস (মাখন), সভাপতি, সাটুরিয়া উপজেলা বিএনপি
আবুল বাশার সরকার, সাধারণ সম্পাদক, সাটুরিয়া উপজেলা বিএনপি
মোঃ আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপজেলা বিএনপি
মোঃ শাহীন আজাদ বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা বিএনপি
মহসিনুজ্জামান, আহ্বায়ক, সাটুরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল
মিজানুর রহমান , সভাপতি, সাটুরিয়া উপজেলা শ্রমিক দল
মোঃ আমীর হামজা, আহ্বায়ক, সাটুরিয়া উপজেলা যুবদল
আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা শ্রমিক দল সাটুরিয়া
আব্দুল জলিল (পাশা), সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা শ্রমিক দল সাটুরিয়া।
বরকত মল্লিক, সভাপতি, উপজেলা কৃষক দল সাটুরিয়া।
দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা কৃষক দল সাটুরিয়া।
বক্তৃতা ও বার্তা
সমাবেশে বক্তারা ৩৬শে জুলাইয়ের ঐতিহাসিক আন্দোলনে শহীদ হওয়া ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং আহতদের চিকিৎসা ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তারা বলেন—
“জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। শহীদদের ত্যাগ বৃথা যাবে না।”
পটভূমি ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলে। সেদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বহু প্রাণহানি ঘটে, কিন্তু তার মধ্য দিয়েই তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন—এই আন্দোলন শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটায়নি, বরং দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার পুনর্জাগরণের পথও সুগম করেছে।
শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি
বিজয় মিছিল ও সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। অংশগ্রহণকারীরা প্রতিজ্ঞা করেন, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।