সাত দিনের মধ্যে যশোর জেলা যুবদলের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদল। শনিবার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম. তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাকে এ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে আংশিক কমিটি গঠনের ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে না পারায় সতর্ক করা হয়েছে। ওই সতর্কবার্তাটি কেন্দ্রীয় যুবদলের পেজেও আপলোড করা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়, যশোর জেলা যুবদলের নয় সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক (আংশিক) কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল গত ৫ ফেব্রুয়ারি। যা অনুমোদন দিয়েছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন। এ সময় তারা নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে ৩০ দিনের মধ্যে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তার তালিকা কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু যশোর জেলা যুবদলের শীর্ষ এ দুই নেতা সে নির্দেশনা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিষয়টি সংগঠনের নীতি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী হিসেবে আখ্যা দিয়ে সতর্ক করা হয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে। ওই নোটিশে এটিকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা উল্লেখ করে সাত দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর তার তালিকা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সতর্কবার্তায় এ নির্দেশনা না মানলে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, একই দিন খুলনা জেলা যুবদল, খুলনা মহানগর যুবদল, ফেনী জেলা যুবদল, দিনাজপুর জেলা যুবদল ও যুক্তরাজ্য যুবদলের শীর্ষ পদের দুই নেতাকেও সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। যশোরের যুবদল নেতাদের মতো তাদেরকেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে