চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আহছানুজ্জামান চাহিদা ভিত্তিক সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে অনিয়ম শিরোনামে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মতলব উত্তরের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদেরকে তার কর্মস্থলে ডেকে চাঁদপুরের স্থানীয় কিছু পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এসময় তিনি সংবাদ কর্মীদের বলেন, চাহিদা ভিত্তিক সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর জন্য খাবার ভাতা বাবদ ৫৪০/- টাকা বরাদ্দ । এর মধ্যে ১৫% ভ্যাট কেটে থাকে ৪৮৬/- টাকা তারা খাবার ভাতা পায়। আমি সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং বিকেলের নাস্তা বাবদ ৩৮৬/- টাকা ব্যায় করি এবং ১০০/- টাকা শিক্ষকদের যাতায়াত ভাড়া হিসেবে দেই। সকালের নাস্তায় প্রত্যেকের জন্য ১ টি সিংগারা, ১টি পাটিসাফটা পিঠা, পেয়ারা ও চা দেই। দুপুরে মোরগ পোলাও আর ১ টি করে ডিম দেই। বিকালের নাস্তায় ১টি কলা, ১টি কেক, আপেল ও চা দেই। খাবারের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমার কোন শিক্ষককের পক্ষ থেকে কোন অসন্তুষ্টি অথবা অভিযোগ আসেনি বরং সকল শিক্ষক খুশি। কিন্তু একটা ষড়যন্ত্রকারী মহলের পক্ষ থেকে অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে কতিপয় রিপোর্টার আমার সম্মান হেয় করার স্বার্থে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর আমাদের ডিপার্টমেন্টাল বিষয় গুলো দেখার জন্য আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। এরপরেও যদি আমার শিক্ষকগণ বলে খাবারের মান ভালোনা অথবা তাদের পক্ষ থেকে কোন অসন্তুুষ্টি বা অভিযোগ থাকে এর জন্য আমি যেকোন শাস্তি মাথা পেতে নেবো। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অসত্য, বানোয়াট ও ভূয়া সংবাদ প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের আমি শাস্তি দাবি করছি।
তার বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এব্যাপারে সাব-ক্লাস্টার ভেন্যু স্কুলের একজন প্রশিক্ষক ১৪ নং ইমামপুর সপ্রাবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাকসুদুর রহমানকে চাহিদা ভিত্তিক সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে অনিয়ম ও খাবার ভাতা বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ৩৮৬/- টাকার মধ্যে তিন বেলা যে খাবার স্যার সরবরাহ করেছেন, তার মান টাকার তুলনায় যথেষ্ট ভালো। সকালে ১টি সিংগারা, ১টি পাটিসাফটা পিঠা, পেয়ারা ও চা দিয়েছেন। দুপুর মোরগ পোলাও আর সাথে ১টি ডিম। এছাড়াও বিকালে ১টি কলা, ১টি কেক, আপেল ও চা দিয়েছেন। এতো কম টাকায় বাংলাদেশের কোথাও এর চেয়ে ভালো খাবার কেউ দিতে পারবে বলে আমার মনে হয়না। তারপরও যাতায়াত ভাড়া হিসেবে প্রত্যেককে আহছানুজ্জামান স্যার ১০০/- করে দিয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই চাহিদা ভিত্তিক সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণের বিষয়ে ভেন্যু স্কুল ১৪ নং ইমামপুর সপ্রাবিতে আসা কোন শিক্ষকের কোন অভিযোগ নেই বরং সকলেই খাবারের মান ভালো বলে মন্তব্য করেছেন। ২০ নং ইমামপুর সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক সোহানা ইসলাম, ৩নং নবাবনগর সপ্রাবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহমিনা নিপু, ১৮৪ ছেংগারচর আহম্মদিয়া সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, কেশাইরকান্দি সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার এবং পাঁচগাছিয়া সপ্রাবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাকিলা আক্তার সকলেই খাবারের মান যথেষ্ট ভালো বলে মন্তব্য করেছেন। শুধু তাহা নহে শিক্ষকগণ তাদের সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আহছানুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভূয়া বলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই ধরনের ভূয়া সংবাদ প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের শাস্তি দাবি করেছেন।