1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বরিশাল নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে জেল খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু সেতাবগঞ্জ পৌরশহরে ছয়তলার অনুমোদন নিয়ে নয়তলা ভবন নির্মান, নীরব পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করায় কর্মকর্তাদের বিচারের দাবীতে শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন এমপক্স সম্পর্কে সচেতন হতে হবে রাবির শেরে-বাংলা হলে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার শান্তিপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া ঠিক হবে না,মির্জা ফখরুল ইবিতে পাঁচ বিভাগে নতুন সভাপতি নিয়োগ কালকিনিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার নওগাঁয় স্বামীর লাঠির আঘাতে গৃহবধূ আইলা মৃত্যুর অভিযোগ পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

সিরাজগঞ্জে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী চিকিৎসা দেয় ওয়ার্ড বয়

মোঃ জুয়েল রানা
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১১০৭ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ড বয় জরুরী বিভাগের রোগীর চিকিৎসা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় সাব-এ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের (সেকমে) পরামর্শে ওয়ার্ড বয় কেটে যাওয়া স্থানে সেলাই দেন। ভুক্তভোগী আবদুল মোমিন বলেন, আমার মেয়ে পড়ে গেলে কান কেটে যায়। হাসপাতালে তাৎখনিক জরুরী বিভাগে কোন চিকিৎসক পাইনি। তবে একজন ওয়ার্ড বয় ও একজন সেকমো ছিলেন।

সেকমোর পরামর্শে আমার মেয়েকে ওয়ার্ড বয় সেলাই দেন। পাশে থেকে একজন ভিডিও করতে গেলে বাকি দুটি সেলাই দেন সুফিয়া নামের এক সেকমো। কিছুক্ষণ পর ডাক্তার এসে শুধু প্রেসক্রিপশন করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এরকম গুরুতর জখম বা ক্ষতস্থানে সেলাই ও ইনজেকশনের কাজ বেশিরভাগ সময় ওয়ার্ড বয় আবু তালেব করে থাকেন। এছাড়া জরুরী বিভাগে চিকিৎসকের মাঝেমধ্যে রোগী রেখে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি বলেন, পায়ের সমস্যার জন্য জরুরি বিভাগে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কে দেখি মোবাইলে ইন্টারনেট চালাচ্ছেন। আমার বয়স বললাম ৩৫ বছর তিনি প্রেসক্রিপশনে লিখলেন ১০ বছর। পরে বিষয়টি খেয়াল করেছি।

ডাক্তারের নাম জানিনা, তবে বিষয়টি নিয়ে আমি খুব হতাশ। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এটা কিভাবে করতে পারেন?ওয়ার্ড বয় আবু তালেব সেলাই ও ইনজেকশন দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০ জনকে এরকম সেলাই দিয়ে থাকি। গতকাল সকালে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক অভিজিৎ কে মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামারখন্দ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডক্টর মোঃ ইব্রাহিম বলেন, ওয়ার্ড বয় কে দিয়ে সেলাই করানো হলে, এটা অবশ্যই দুঃখজনক। আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ তারা না করে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com