সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের কড্ডার মোড়ে চলন্ত প্রাইভেটকার থামিয়ে প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত সোয়া ১১টার দিকে সংঘটিত এই ঘটনায় গাড়িতে থাকা চালক ও দুই নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ভিডিও হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ঢাকাগামী ওই প্রাইভেটকারটি যমুনা সেতুর প্রায় এক কিলোমিটার আগে কড্ডার মোড়ে পৌঁছালে ১৪-১৫ জনের একটি সশস্ত্র দল গাড়ির গতিরোধ করে। ডাকাতদের বয়স আনুমানিক ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাদের কারও গায়ে পোশাক ছিল না, কেবল হাঁটু পর্যন্ত লুঙ্গি পরা ছিল, এবং প্রত্যেকের হাতে ছিল তিন থেকে চার ফুট লম্বা রামদা বা সামুরাই।
তারা মুহূর্তের মধ্যে গাড়ির গ্লাস ভেঙে ভেতরে ঢুকে যাত্রীদের মারধর করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এরপর ধানক্ষেতের দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। অন্য একটি গাড়ির যাত্রী পুরো ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওতে দেখা যায়, আহতদের মধ্যে এক বৃদ্ধ মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, অস্ত্রের আঘাতে বা ভাঙা কাচের টুকরো লেগে তারা আহত হয়েছেন।
ভিডিও ধারণকারী ঢাকার ধানমন্ডির ব্যবসায়ী ফজলে রাব্বি জানান, “আমরা বগুড়া থেকে ঢাকায় ফিরছিলাম। হঠাৎ সামনে দেখি একদল যুবক প্রাইভেটকারে হামলা চালাচ্ছে। দৃশ্যটি এত ভয়াবহ ছিল যে আমরা গাড়ি থামাতে সাহস পাইনি।”
ঘটনার পর প্রাইভেটকারটি যমুনা সেতুর টোলপ্লাজায় পৌঁছালে আহতদের দেখা যায়। এ ঘটনায় মহাসড়ক ব্যবহারকারী চালক ও যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা জোরদারের দাবি উঠেছে।
এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে, তবে ঘটনাস্থল যমুনা সেতু পশ্চিম থানার অধীনে পড়ে।”
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, “আমরাও ভিডিওটি দেখেছি এবং ঘটনাস্থল নির্ধারণে কাজ করছি। এটি যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের আশেপাশে ঘটেছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।”