সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী নিধন কোনোভাবেই থামছে না। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়রা উপজেলায় যৌথ অভিযান চালিয়ে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারিকে আটক করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে হরিণের একটি মাথা এবং তিনশ মিটার হরিণ শিকারের ফাঁদ। আটককৃত ব্যক্তি হলেন কয়রা উপজেলার ছোট আংটিহারা গ্রামের মিজানুর রহমান (৩০)।
গতকাল রাত ১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ছোট আংটিহারা এলাকার রাস্তার ওপর থেকে এই বিপুল পরিমাণ মাংসসহ তাকে আটক করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, বন বিভাগের নজর এড়িয়ে অপরাধীরা নিয়মিত সুন্দরবনে প্রবেশ করছে এবং বন্যপ্রাণী শিকার করছে। তাদের মতে, লোকালয়ে কেবল কিছু মাংস ধরা পড়ছে, কিন্তু বনের ভেতরে প্রতিদিন কত হরিণ মারা হচ্ছে তা অজানা। পরিবেশ ও বন রক্ষায় প্রশাসনকে আরও কঠোর এবং দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
আন্দারমানিক বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মোঃ রাশিদুল হাসান, জানিয়েছেন যে আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাংস আদালতের নির্দেশে মাটির নিচে পুঁতে নষ্ট করা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, “সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী রক্ষায় আরও বেশি নজরদারি এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।