বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মীর হোসেনকে ছাগলনাইয়া পৌরসভার দক্ষিণ যশপুর এলাকা থেকে ৩০জুলাই বুধবার রাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামের মীর হোসেন তার স্ত্রী জাহেদা আক্তার (৩৫) এবং মেয়ে মিশু আক্তারকে (১৭) নিয়ে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রামপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন এবং স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। বাড়ির মালিক আবুল খায়ের জানান, গত ১২ জুলাই রাজমিস্ত্রী মীর হোসেন বাসা ভাড়া নেন। মঙ্গলবার ভোরে হঠাৎ সে বাসা থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘরে গিয়ে দেখা যায়, মা ও মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে।
বিষয়টি সম্পর্কে রামপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল হক ও মিজানুর রহমান বলেন, মা ও মেয়ে দুজনই জিহান ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। তারা খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। কিভাবে এ ঘটনা ঘটল, তা আমরা বুঝতে পারছি না।
নিহত জাহেদা আক্তারের মাতা হোসনআরা, বোন বিবি আয়েশা মায়া ও শিশু কন্যা বিবি ফাতেমা অভিযোগ করেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে মীর হোসেন তার স্ত্রী জাহেদা আক্তার ও মেয়ে মিশু আক্তারকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমরা মীর হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টায় মা মেয়ের লাশ ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বুড়িচং মডেল থানার ওসি মো. আজিজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং লাশ দুটি উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিতভাবে বলা যাবে মৃত্যুর কারণ।
মা ও মেয়ের লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।