ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) কার্যক্রমের আওতায় ১ জুলাই /২০২৫ হতে ৩০ জুন/২০২৭ চক্রের আওতায়
লটারির মাধ্যমে উম্মুক্ত পরিবেশে ভিডব্লিউবি) উপকারভোগী নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৮জুন) সকাল ১১টা থেকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাস্তবায়নে ও কুষ্টিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণে উক্ত লটারী অনুষ্ঠিত হয়। এই লটারিতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপকারভোগীরা নিজেরাই এই স্বচ্ছ বাছাই পদ্ধতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কুষ্টিয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড থেকে মোট ৭শত ৬১জন আবেদন করেন এই ভিডব্লিউবিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য। লটারি পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই শেষে ২শত জনকে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ১ টি সহ বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির জয আরো ৩টি মোট ৪ অতিরিক্ত ধরা হয়েছে। এই নির্বাচিত উপকারভোগীরা আগামী দুই বছর প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন সরকারের পক্ষ থেকে। লটারির কার্যক্রম পরিচালনা করেন উম্মত লটারি কার্যক্রমের টিম সম্বন্বয়ক ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা এবং উপজেলা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, “স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করায় ছিল আমাদের লক্ষ্য। তাই সবার সামনে লটারি করে উপকারভোগী নির্বাচন করেছি, যাতে কোনো অনিয়ম না থাকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। নির্বাচিত উপকারভোগীরা জানান, আগে বাছাইয়ের পেছনে স্বজনপ্রীতি হতো,টাকায় বিক্রি হতো বিডব্লিউবি প্রকল্পের এই কার্ড। কিন্তু এবার উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে নাম ওঠায় তারা খুশি। ইউপি প্রশাসক হাবিবুল্লাহ বলেন, আমরা চাই সবাই জানুক কে কীভাবে উপকারভোগী হচ্ছেন। তাছাড়া স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত জনপ্রশাসনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এতে করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে ও স্বজনপ্রীতি কার্ড বাণিজ্যের অভিযোগের সুযোগ নেই। এতে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াবে।
এসময় কুষ্টিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম ফকির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মশাররফ হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শফিয়ার ফারুক, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বাছাই কমিটির সদস্যগণসহ স্থানীয় রাজনৈতিক সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।