স্বপ্ন ছিল প্রবাসে পরিশ্রমের আয়ে সচ্ছলতা ফেরাবেন পরিবারে। সবার মুখে ফোটাবেন হাসি। তাই দিনবদলের স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি জমিয়েছিলেন মাদারীপুরের ডসারের মো. শাহ আলম খন্দকার-(৪২)। তাঁর সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অবশেষে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। তবে লাশ হয়ে। এদিকে পরিবারের সদস্যরা রাতে তাঁর লাশ গ্রহণ করেন এবং আজ শনিবার সকালে নিহত শাহ আলমের মরদেহ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন। নিহত শাহ আলম ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পূয়ালী গ্রামের মো. মোয়াজ্জেম খন্দকারের ছেলে। স্ট্রোক করে শাহ আলম গত ১ এপ্রিল মালয়েশিয়ার মারা যায়।
এলাকা ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউয়িনের পশ্চিম পূয়ালী গ্রামের মো. মোয়াজ্জেম খন্দকারের ছেলে মো. শাহ আলম খন্দকার প্রায় ১৬ বছর পূর্বে পরিবারের সবার মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। কিন্তু হঠাৎ করে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্ট্রোক করে শাহ আলম মারা যায়। পরে পরিবারের কাছে খবর আসে প্রবাসের মাটিতে স্ট্রোক করে শাহ আলম মারা গেছেন। মৃত্যুর সংবাদে পুরো পরিবারটি ভেঙে পড়েছে। শোকে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন মা। একমাত্র ছেলেকে বুকে জড়িয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন স্ত্রী। পরে নিহত ওই শাহ আলমের লাশ রাতে দেশে আসলে তার পরিবারের সদস্যরা গ্রহণ করেন এবং সকালে নিহত শাহ আলমের মরদেহ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।
নিহত শাহ আলমের স্ত্রী মনি বেগম কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, মালয়েশিয়ায় গিয়ে উপার্জন করে পরিবারের জন্য ভালো কিছু করার প্রত্যাশা ছিল তার। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই তিনি আমাদের পরিবারের সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তবে আমার একমাত্র সন্তান তার বাবার মুখ দেখার আগেই তিনি মারা গেলেন। আমি এখন আমার সন্তানকে কি দিয়ে সান্ত¡না দিব।
নিহত শাহ আলমের বড় ভাই মো. শাহাদাৎ হোসেন খন্দকার বলেন, আমার ছোট ভাই মো. শাহ আলম ২০০৯ সালে মালয়েশিয়ায় গেছেন। কিন্তু হঠাৎ গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্ট্রোক করে সে মারা গেছেন। পরে গত রাতে শাহ আলমের লাশ আমরা গ্রহন করি। এবং সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শাহ আলমের মরদেহ দাফন করি।
এ ব্যাপারে ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফ-উল আরেফীন বলেন, মালয়েশিয়ায় নিহত যুবকের লাশ দেশে আসছে এবং তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।