স্বামীকে চুরি করতে বাঁধা দেয়ায় ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে অন্ত:সত্তা স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা। আবশেষে নিখোঁজের ৮দিন পর সোমবার দুপুরে উপজেলর শ্বাশোর গ্রামের ঝালাই মিস্ত্রির বাড়ির পার্শ্বের কাঁচা বাদরুমের টেংকি থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী লিটনকে আটক করা হয়েছে।
রিমুর মা আসমা বেগম ও বাবা একরামুল জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার একান্নপুর গ্রামের লক্ষিনন্দর বাজার এলাকার পুসুদ্দীনের ছেলে লিটন উপজেলার মালগাঁও চৌধরী পাড়া গ্রামের একরামূলের মেয়ে রিমু আক্তা(২২)কে ৫বছর পূর্বে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তাদের ওরসে একটি লাইমা আক্তার (৩) নামের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। বর্তমানে রিমু আক্তার ৬মাসের অন্ত:সত্তা হলেও স্বামীকে চুরি করতে বাধা দেয়ায় প্রায় সময় সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকায় লিটন তার স্ত্রী রিমুর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ২৩ জুন রাতে তার নিজ শয়ন ঘরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং রিমু নিখোঁজ হয়েছে বলে রিমুর স্বজদের জানায় লিটন। পরবর্তীত্বে ৮দিন পর সোমবার সকলে উপজেলর শ্বাশোর গ্রামের ঝালাই মিস্ত্রি সুমুন রায়ের বাড়ির পার্শ্বের কাচাঁ বাদরুমের টেংকি থেকে রিমুর আক্তারের বস্তা বন্দি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রিমুর স্বামী লিটনকে আটক করেছে পুলিশ।
পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে