ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায়
২০ জুন ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ০০.৩০ ঘটিকায় দিনাজপুর ব্যাটালিয়ন (৪২ বিজিবি) এর অধীনস্থ চাপসার বিওপি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৪৭/এমপি বরাবর ভারতের অভ্যন্তর হতে ০৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশ ইন করে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কর্তব্যরত বিজিবি টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তর হতে পুশ ইনকৃত ০৭ জন নাগরিককে আটক করতে সক্ষম হয়।
১। মোছাঃ সাহিনা বেগম (৪৬), স্বামী-মোঃ শহীদ শেখ, গ্রাম-গাজির হাট পেরুলী, পোস্ট ও থানা-নোয়াপাড়া, জেলা-যশোর।
২। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০), পিতা-মোঃ শহীদ শেখ, গ্রাম-গাজির হাট পেরুলী, পোস্ট ও থানা-নোয়াপাড়া, জেলা-যশোর।
৩। মোঃ শরিফুল শেখ (১৭), পিতা-মোঃ শহীদ শেখ, গ্রাম-গাজির হাট পেরুলী, পোস্ট ও থানা-নোয়াপাড়া, জেলা-যশোর।
৪। মোছাঃ রেকসোনা খাতুন (২৬), পিতা-মোঃ শহীদ শেখ, গ্রাম-গাজির হাট পেরুলী, পোস্ট ও থানা-নোয়াপাড়া, জেলা-যশোর।
৫। মোছাঃ ছাবিনা খাতুন (২৪), পিতা-মোঃ শহীদ শেখ, গ্রাম-গাজির হাট পেরুলী, পোস্ট ও থানা-নোয়াপাড়া, জেলা-যশোর।
৬। মোছাঃ আয়না খাতুন (৩৫), স্বামী-ফিজরুল খাঁ, গ্রাম-যাদবপুর, পোস্ট-খড়ুরিয়া, থানা-কালিয়া, জেলা-নড়াইল।
৭। মোছাঃ আরিফা খাতুন (০৪), পিতা-ফিজরুল খাঁ, গ্রাম-যাদবপুর, পোস্ট-খড়ুরিয়া, থানা-কালিয়া, জেলা-নড়াইল।
আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানাগেছে তারা কাজের সন্ধানে ইতিপূর্বে (২০-২৫ বছর সময়কালে) দালালের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ হতে মুম্বাই, ভারতে গমন করেছিল। আনুমানিক ০৬-০৭ দিন পূর্বে মুম্বাই পুলিশ কর্তৃক তাদেরকে গ্রেফতার করতঃ গত ১৯ জুন ২০২৫ তারিখ সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে।
আটককৃতদের স্বজনদের মাধ্যমে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র যাচাই বাছাই করতঃ নাগরিকত্ব সঠিক হওয়ায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান। বর্ণিত ঘটনার প্রতিবাদে বিজিবি এর পক্ষ হতে ২০ জুন ২০২৫ তারিখ বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজিবি কর্তৃক সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্ত সংক্রান্ত অপরাধ সমূহ হ্রাস করতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সীমান্তে মানব পাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে তথ্য প্রদান করে সহায়তা প্রদান করার জন্য বিজিবি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সকলকে অনুরোধ করে।