হাওরের রাজধানী বলে খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলা  জাতীয় উন্নয়নের মুল ধারা থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল। গত ৫ বছরে জগন্নাথপুর—শান্তিগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রচেষ্টায় উন্নয়নে কিছুটা গতি পেলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রী পরিষদে এম এ মান্নান মন্ত্রী পরিষদে জায়গা না পাওয়ায় হতাশা দেখা দিয়েছে।

বিশেষ করে এবার সংসদ নির্বাচনের পর সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান কে অর্থ মন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পিএসসির সাবেক সচিব ড.মোহাম্মদ সাদিক কে শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে রাখা হতে পারে এমন আলোচনা থাকলেও নতুন মন্ত্রী পরিষদে সুনামগঞ্জের কাউকে মন্ত্রী পরিষদে না রাখায় হাওরবাসীর উন্নয়নের চাকা থেমে যাওয়ার আশঙ্কায় পড়েছেন জেলাবাসী।

২০০৮ সাল থেকে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হন এম এ মান্নান। ২০১৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও ২০১৮ সালে তিনি সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দায়িত্বকালীন সময়ে সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, কৃষি ইনস্টিটিউট, বিটাক, ধান গবেষণা কেন্দ্র, কুশিয়ারা নদীর উপর সিলেট বিভাগের বৃহৎ  রানীগঞ্জ সেতু, সুনামগঞ্জ— ময়মনসিংহ উড়ালসড়ক (নির্মাণাধীন) সুনামগঞ্জ দিরাই আজমিরীগঞ্জ —ঢাকা সড়ক নির্মাণাধীন প্রকল্প সহ দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন হয়। তিনি সুনামগঞ্জে রেললাইন সংযুক্ত, বিমান বন্দর স্থাপন সহ অনেক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫ টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জেলাবাসীর আশা ছিল এবার তিনি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পাবেন। কিন্তু নতুন মন্ত্রী পরিষদের ৩৭ জনের তালিকায় সুনামগঞ্জ থেকে কারো নাম না থাকায় হতাশা দেখা যায়।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, পিছিয়ে পড়া সুনামগঞ্জকে জাতীয় উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসতে কাজ শুরু করেছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এবার তাঁকে মন্ত্রী পরিষদে না দেখে আমরা হতাশ। সুনামগঞ্জের উন্নয়নের জন্য তাঁকে মন্ত্রী পরিষদে জায়গা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সীতাংশু রঞ্জন ধর বলেন, এম এ মান্নানের মতো সৎ, সজ্জন, বিচক্ষণ, অভিজ্ঞ মানুষ কে মন্ত্রী পরিষদে না দেখে  আমরা ব্যতিত ও মর্মাহত।

এম এ মান্নান বলেন, আমি নতুন মন্ত্রী পরিষদে না থাকলেও সংসদে আছি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে চারবার দলের মনোনয়ন দিয়ে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। সরকারের দুই মেয়াদে মন্ত্রী পরিষদে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী তিনি যেখানে কাজে লাগাবেন, সেখানে কাজ করব।