আলহাজ্ব মোশতাক আহমেদ রুহী ভাইযের হৃদয় বিধারক বার্তাঃ ১৯.১১.২০২৪আমার মায়া চলে গেছে মায়ার বাঁধন ছেড়ে । আমার সংসার সাজানো গুছানোর আগেই তছনছ হয়ে গেল। সবি আছে শুধু আমার জারা নেই। আমার এই জীবন শেষ । আর্তনাদে কত কষ্টে ছিলাম কত কষ্টে আছি দেখে মৃত্যুর পর আরেকটা জীবন থেকে আমার কলিজার টুকরা মেয়ে কেন ফিরে আসে না।পৃথিবীর সবচাইতে নির্মম কষ্ট পেয়ে গেছি । জীবন চক্রের কঠিন মর্মান্তিক শিকার আমি ও আমার পরিবার।আমি মারা যাওয়ার আগেই যেন মরে গিয়েছি।জন্ম মৃত্যু সুখ দুঃখ মানবজাতির স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু আমার মেয়ের এমন মৃত্যু চরম অবিচার করা হলো।পরীক্ষার কথা জানতাম কিন্তু আমার মেয়ের প্রানের বিনিময়ে এ কি পরীক্ষা ! জারাকে দেখে গা শিউরে উঠে। বেচে থাকতে মন চায় না।এই যদি জীবন হয় তাহলে জীবনের এত আয়োজন করার কি দরকার। কারো যখন তখন মৃত্যু আমাকে আর অবাক করবে না। আর কোন দিন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো না। আমার শূন্যতার হাহাকার আর্তনাদ থামবে কিনা জানি না। কারন আমার মায়ার অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারলাম না। পারবও না। আমি কারো দয়া মায়া চাই না শুধু আমার মেয়ের জন্য বুকভরা দোয়া চাই। আমার মেয়ে জারার জন্য যে ভালবাসা আমার জন্যতার দুর্লভ ভালবাসা আমার সারা জীবনের কান্না। অনেক কাদবো সময় নিয়ে কাদবো।চিৎকার করে কাদবো।কষ্ট সহ্য করতে নিজের সাথে লড়াই করতে হচ্ছে।জীবনে আর সুখ রইলো না যে অপূরনীয় দুঃখ পেয়েছি এটা নিয়েই একদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে। জীবনটা নিয়মের বাইরে চলে গেছে । ধন দৌলত ক্ষমতা অর্থ সম্পদের মায়ার কোন মূল্য নাই।আমার পৃথিবী ক্ষুদ্র হয়ে গেছে।জীবদ্দশায় সন্তান হারানোর কষ্ট মন ভেঙ্গে গেছে ।আমার মেয়ের জন্য পৃথিবীর সব মায়া ।কিভাবে ভূলে থাকবো বাকী জীবন।দুঃখে কষ্টে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা এসেছে।কষ্টে কষ্টে কষ্টের অনুভূতি নিস্তব্দ হয়ে গেছে।আত্নার শান্তি সুখ উঠে গেছে। জীবনের নিরানন্দ। আমার মেয়ের টগবগে উচ্ছাস হারিয়ে গেছে।আর কখনো দেখবো না হাস্যজ্জল মুখের হাসি শুনবো বলবে না কথা। এই কি করুন জীবন। আমার দুর্বলতা ছিল আমার মেয়ে। আমার মেয়ের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে আমার মেয়ের কাছেই ছিলাম। কেন কেড়ে নিলা আল্লাহ ? আমার জ্ঞান ডাউন। জীবন ধারন জটিল হয়ে গেছে।আমার জীবন সংগ্রামের জটিলতার কেন্দ্র থেকে কখনোই পরিপূর্ণ ভাবে বের হতে পারিনি। ক্রান্তিকালগুলোতে প্রিয়জন হারালাম। আমার মেয়ে আমাকে তাগিদ দিয়েছিল নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য আমি যাইনি মেয়ের অসুস্থতায় কাছাকাছি ছিলাম তারপর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল সব । দীর্ঘ প্রায় দুই মাস শারিরীক মানসিক ভাবে প্রায় মৃতপ্রায় ছিলাম এখন অনিশ্চিত যাত্রা পথে যাযাবরের মত গমন ।আব্বা আমার দুঃসময়ে গেলেন তারপর আম্মা করোনার সময় আমার মেয়ে আমার দুঃসময়ে।এখন আমি উন্মাদ আমি ভ্রান্ত। কোন কিছুই আকর্ষন করে আমার প্রানটাকে স্পর্শ করে না।দুঃখ কষ্ট ভূলে থাকতে যাযাবরের মত বেরিয়ে পড়লাম।আমার মেয়ের এই অবস্থা কেন হল তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না আমাদের কাদিয়ে নিয়ে গেল । সৃষ্টিকর্তা থেকে এত কষ্ট কেন এই অবিচার কেন । আলেমদের মুখে আল্লাহর পরীক্ষা করার যে কথাটি শুনি সেই পরীক্ষা আমার মেয়ের উপর কেন ? কেন আমার মায়াকে কেড়ে নেয়া ? কেন তাকে বন্চিত করা, কেন আমার পারিবারিক সুখ শান্তি ধংব্স করা ? হঠাৎ অন্য মনস্কতা তীব্র বিষন্নতা মনে অসুস্থতা আমার নিজস্বতা ভেঙ্গে গেছে পুনঃস্থাপন করতে পারছি না ।জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে অস্থিতিশীলতা থেকে যখন স্থিতিশীল করার ভাগ্য হয়েছে তখনি কোন কোন ছোট খাট বিপর্যয়ে নিপতিত হয়ে জীবনের ছন্দ আনতে সক্ষম হইনি। এবার আমার মেয়েকে হারিয়ে চির বিপর্যয়ের আবর্তে আটকে গেল।আমার মেয়ের মৃত্যুর পর জানলাম এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর যা বলতে চাই না। বুঝি আত্ন উপলদ্ধিতে জীবন পূর্ননির্মান করে বেঁচে থাকা আবশ্যক আমার দুই ছেলের জন্য দায়িত্ত্ব পালনে অপারগ হলে জীবন ব্যর্থ ও তাদের জন্য অবিচার হবে ।বেঁচে থাকার মায়া ছিল না। বেঁচে থাকার স্পৃহা বাদ দিয়েছিলাম । তার নিথর দেহমুখ দেখার পর আমি বাকরুদ্ধ পাগলপ্রায় ছিলাম। আমার মেয়ের জীবনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ গিয়েছে।দুঃসহ সময়ের স্মৃতি মনে করতে পারি না।ঐরাতে শুধু মনে পড়ে কবরে আমার মেয়েকে পাশ থেকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলাম।তারপর থেকে যেন আমার মেয়ের সাথে আমিও হারিয়ে গিয়েছিলাম।আমার অতি আদরের মেয়ের মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না মীমাংসা করতে পারছি না।
আমি মারা যাওয়ার আগেই যেন মরে গিয়েছি।আমার শূন্যতার বুক ফাটা হাহাকার বিদীর্ন করা আর্তনাদ কবে থামবে জানি না।আমার মেয়ের হার্ট আর লাঙ্গের চিত্র মনে ভাসে।কোন চিন্তা কর্মে আমি মাইন্ড সেট করতে পারছি না। কবে পারবো তাও জানি না। জীবন বদলে গেছে ।আমি আর আমিতে নাই।সব হারিয়েছি আমি। সন্তানের মৃত্যু কি যন্ত্রনা কি বেদনা তা মর্মে মর্মে বুঝলাম। আমার মেয়ে জারা প্রতিনিয়ত আমার অন্তরে জীবিত বিরাজমান।ঘড়ে আমার মেয়ে নাই তার প্রানবন্ত কথা না থাকায় শান্তির ঘরে স্বস্তি নাই।শেষ দিকে আমার মেয়ে অসহনীয় অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। করুনতম দৃশ্য । চলে যাওয়ার পর আমার মেয়ের কষ্ট মুক্ত দেহে ফুটফুটে সতেজ সুন্দর আসল অবয়ব ফুটে উঠেছিল। দেশে চিকিৎসা নাই প্রথম প্লান অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতা দখল করার সময়কালীন পারলাম মা দ্বিতীয় প্লান বাস্তবায়নে হয়তো আর ১০ দিন সময় লাগতো তার আগেই আমার মা অসময়ে চলে গেলা দুঃখের অথৈ সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে। মানুষের কত অসুখ বিসুখ হয় মূমুর্ষ থাকে চিকিৎসায় থাকে । এত দ্রুত তার অসুস্থতার অবনতি সেই প্রশ্ন সহ অনেক অনেক প্রশ্নের উত্তর আমি জানি না হে আল্লাহ । বিস্তারিত চিন্তা ভাবনা করতে অক্ষম হচ্ছি । শক্ত থাকার প্রানান্তকর ব্যর্থ চেষ্টা করছি।আমার মেয়ে জারা রহস্যময় কথা বলেছে প্রশ্ন জাগে সে কি জানতো এই দুনিয়াতে আর থাকবে না।কয়েক দিন পূর্ব থেকে কেমন জানি অবসন্নতায় আচ্ছন্ন হচ্ছিল আমার শরীর মন।
কিভাবে এই আকাশ সমান কষ্ট সামলে নিব আমি তা এখনও জানি না।আমার মেয়ে ছিল সংসারের প্রান । তাকে কেন্দ্র করেই আলোকিত ও প্রানবন্ত ছিল সংসার। তাকে হারিয়ে বিষন্ন সংসার ।এমন অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন আসবে দিশেহারা হয়ে যাব যা কখনও কল্পনাও করিনি । মেয়ের শোকে কি পরিণতি হতে পারে এর জ্বলন্ত উদাহরণে জ্বলছি ।কত যে কাঁদবো জানি না ।অনুভব, অনুভূতি, উপলদ্ধি, ভালবাসায় কাঁদতে কাঁদতে জীবন যাবে।আমাদের মত কত পরিবার এমন দুর্ভাগ্যের শিকার জানি না।মেয়েকে নিয়ে আবুধাবি আমেরিকান ক্লিভলেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ভিসাও নিয়েছিলাম সকলের সংকটের সময় যাওয়াটা অন্যায় মনে হল গেলাম না পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় আর যেতে পারলাম না।
আমার রাজকন্যা মেয়ে ফুটন্ত বয়সে স্বপ্ন দেখা শেখার বয়সে ক্ষনজন্মা দুর্লভ রোগে পৃথিবীতে জীবনের আনন্দ পায়নি সে বিধাতার অনন্ত জীবনে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার প্রাপ্য।আকাশের তারায় তাকে দেখবো আমি।যত দিন ছিল আমার মেয়ে বর্নাট্য রেখেছিলাম শত কষ্ট সংগ্রামের পরও।আমাদের সব প্রচেষ্টা ছিল। তার চিকিৎসা বাংলাদেশে ছিল না।যখন তার অবস্থা দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছিল সে সেসময় টাতেই আমার ও জারার মার পাসপোর্ট ইতিমধ্যেই বাতিল। আবেদন করলাম। পাসপোর্ট না না থাকাতে আমার মেয়েকে নিয়ে দেশের বাইরেও যেতে পারলাম না। শেষ চেষ্টার চিকিৎসাও করতে পারলাম না। এর থেকে জীবনে পরিতাপের আর কিছু নেই- আমার মেয়েকে হারিয়েছি আমরা জানি একজন সন্তান হারা পিতামাতার অসহায় আর্তনাদ । ট্রমায় ছিলাম। কি থেকে কি হল হিতাহিত জ্ঞান ছিল না।আত্নীয় স্বজনরা তড়িঘড়ি করে জোর পূর্বক আমাকে লোক চক্ষুর আড়ালে নিয়ে গেল মেয়ের জানাজায় অংশগ্রহন করার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম মসজিদের আশেপাশে অবৈধ সরকারের সাদা পোশাকে পুলিশ প্রায় ঘেরাও করে রাখার কারনে পারলাম না। কবর স্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আমার মেয়েকে রেখে আসতে পারলাম না সেখানেও আশপাশে অবস্থান করছিলাম।।আমার মেয়ের কোন অসন্তুষ্টি ছিল না অভিযোগ ছিল না।আমার কলিজার ধন আমার মায়া আমার ভালবাসা আমার জীবন ছিল আমার মেয়ে হারিয়ে সীমাহীন অবর্ননীয় কষ্ট সইতে পারছি না। যতই সুস্থ হচ্ছে অনুভূতি ফিরে পাচ্ছি ততই তীব্র অসহ্য কষ্টে আক্রান্ত হচ্ছি।আমার মেয়ে অল্প বয়সে মহৎ রাজনৈতিক,সামাজিক, দার্শনিক, দুরদর্শীতা,আধ্যাত্মিক, মানবিক, দয়ালু চিন্তা ধারন করতো । এত জ্ঞানগর্ভ কথা কিভাবে বলতো ভেবে বিস্মিত হতাম। আমার মেয়ের কথাগুলো প্রতিপালন করবো।আমার মেয়ে অনেক কিছু শিখিয়ে গেছে। আমার জন্য অনেক মায়া ছিল তার। ছায়ার মত চিন্তা করতো। আমার প্রতি অকুন্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থন ছিল। সে আমাকে আর দেখ ভাল করতে পারবে না।“আমার ক্ষনজন্মা জারা মা তুমি বলেছিলে তোমার কিছু হলে আমার কিছুই হবে না। কিন্তু আমি তিলে তিলে নিঃশেষ।আল্লাহ মহৎ প্রানের আমার মেয়ে আমার জীবন জারাকে ফিরিয়ে দাও।পারিবারিক সামাজিক রাজনৈতিক সহ কোন চিন্তা কর্মে আমি মাইন্ড সেট করতে পারছি না। কবে পারবো তাও জানি না। জীবন বদলে গেছে ।আমার মেয়েকে অকালে হারিয়ে দেখলাম জীবন কত নিষ্ঠুর ও মৃত্যু জঘন্য নির্মম নিষ্ঠুর । এ কেমন করুন দুর্ভাগ্য আমাদের যেটির সংজ্ঞা , বর্ননা আমার জানা নাই।সবার মেয়ের মতই আমার মেয়েও ছিল আমার আজীবনের সৌভাগ্যের প্রতীক।আমার মেয়ের স্মৃতি আমাকে তাড়া করে।জীবনের যে সময়টাতে অধ্যায়ে এসে স্থিতিশীল সুখ শান্তি অনুসন্ধান করে জীবন নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছিলাম তখনি মেয়েকে হারিয়ে সব হারিয়ে চির দুঃখী হাহাকারে জীবনে বিতৃষ্ণা চলে আসছে।অব্যক্ত কষ্টের প্রচন্ড ঝাঁকুনি বুক বিদীর্ন করে কান্না এই শোক সইবার মত নয়।সংগ্রাম করতে করতে অর্জন করে এই পর্যন্ত এসে আমার মেয়েকে হারিয়ে জীবনের সব প্রাপ্তি তুচ্ছ মনে হয়। কেউই থাকবো না এই দুনিয়াতে। মানুষ সবাই মরে যাব একদিন মন মরে যাবে দেহ মরে যাবে। কিন্ত সন্তান হারানোর বেদনা করুণ নির্মম।
[ আমাকে আমাকে শান্তনা দিয়ে নিম্নে বর্ণিত কথাগুলো যারা বলেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।“ মামা কিছু হারানোর বেদনার শূন্যতা এমন হয় যা কখনোই পূরণ হবার নয়।মামা আলো আসবেই।এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। মামা আপনার এই কষ্টে ভাগ হয়তো কেউ নিতে পারবে না, কিন্তু আপনাকে যারা আপনার ছাত্র জীবন থেকে ভালোবাসে আপনার অবদানের কথা স্বীকার করে তারা সবাই অনেক কষ্ট পেয়েছে।মামা আপনার এই বেহেশতী কন্যা আল্লাহর দরবারে আপনারও আপনার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন এটা আমি বিশ্বাস করি।মামা আপনাকে ভালোবাসে এমন হাজারো কর্মী অথবা আপনার রাজনীতি না করলেও আপনাকে ভালোবাসে এমন অনেক মানুষ এই দুর্গাপুর কলমাকান্দা নেত্রকোনা তথা এই বাংলায় আছে। মামা আপনি একা নন! আমরা সবাই আপনার পাশে আছি।”“ ভাই, আস সালামু আলাইকুম।অনেক ব্যাতিত, হৃদয়বিদারক সময় পার করছেন। এর মাঝে সাহস পাই না আপনাকে বিরক্ত করতে। ভাই, আপনার কথা শুনতে চাই। যতটা না দল চলে যাওয়ায় কষ্ট পেয়েছি তার চেয়েও বেশী কষ্ট পেয়েছি আপনার কলিজার টুকরা জারার বিয়োগে। আপনাকে ভালবেসেছি ক্ষমতার পূর্ব থেকেই। ক্ষমতা চলে গিয়েছিলো তাতে কষ্ট নেই। আপনার কষ্ট দেখতে চাই নি। মহান আল্লাহতালা আপনাকে এরকম পরীক্ষায় না ফেলুন। আপনি এর আগেও পিতা, মাতা হারিয়েও আমাদের মাঝে এসেছেন আমাদের হয়ে। ] ”গত সাড়ে দশ বছর আমার জীবন অধ্যায়ে ছয় মাসের ব্যবধানে এই আগষ্ট থেকে থেকে অনেক কিছুর শিকার হয়ে গেলাম।পরিশেষে বলবো,দেশের ও দশের ক্রান্তিকালে আমি এই দুঃসময়ে অপেক্ষা করবো কাছে দুরে যেখানেই থাকি সকলের পাশে দাড়াবো এতটুকু বলতে পারি।বিপদে যারা নানান সমস্যায় দিশেহারা তাদের জন্য অবশ্যই আমার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করবো।এই মূহুর্তে মানসিক সুস্থতার জন্য নির্বাসনে।সকলের মনে আছে আমি বলেছিলাম। এর মধ্য দুটি কথা আবার মনে করিয়ে দিতে চাই, আমার মেয়ের চরম অসুস্থতার সময়ও তার পাশে ঐ সময়ে সার্বক্ষনিক পাশে থাকতে পারিনি ছয় মাস সময় চেয়েছিলাম এলাকার উন্নয়নে মাষ্টার প্লান তৈরী করা এবং বাস্তবায়নের প্লান করা দ্বিতীয় কথাটি আমার দেওয়ার পালা।আপাতত নির্লিপ্ত থেকে হাতে গোনা কিছু সময় যদি একটু শান্তি স্বস্তিতে থাকা যায় সেটাই সকলের জন্য উত্তম হবে।আদরের ছোটরা পারিবারিক অভিভাবকের পর আমি নিজেকে তোমাদের অভিভাবক মনে করি। তোমরা এখন কি ভূমিকায় থাকলে নিরাপদ থাকবে তা আমি জানি।১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পর্যন্ত সবার খোঁজ খবর নিয়েছি যেসব মাধ্যমে সচরাচর খোঁজ নিতাম ।নানান কারনে বিশেষ করে আমার মেয়ের অসুস্থতায় নিজ থেকেই তৈরী নির্লিপ্ত কারাগারে ছিলাম ।বর্তমানে গ্রেফতার করার অন্যতম হাতিয়ার মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের ট্র্যাকিং এর কারনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ছিল । কারন অবৈধ সরকার আর চরমপন্থী মবদের জঙ্গী বেপরোয়া আচরন জুলুমের শিকার হয়ে অহেতুক হয়রানী মেনে নিতে পারবো না সহ্য করতে পারবো না ।এবারের চরম দুঃসময়ে দায়িত্বটা বেড়ে গেছে । বাড়তি দায়িত্বও পালন করবো।সবার প্রতি পরামর্শ থাকবে নিজেদের মধ্যে কোন গ্রুপিং নয় কে কার লোক কে কি করেছে বিগত ১০ বছর সব ভূলে মানসিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ভাবতে হবে মানতে হবে আমরা একটা পরিবার । বিভ্রান্তিকর তথ্যে অতি আবেগে নিজেই নিজের ক্ষতি করবে / করবেন না বিপদ টেনে আনবে/আনবেন না। ধারাবাহিকভাবে সকলের বিপদমুক্ত হতে গিয়ে যা করণীয় করবো।প্রায় দশ বছর আমার দলীয় কোন পদ পদবী দায়িত্ব ছিল না তথাপি তৃণমূল নেতাকর্মী যারা আমার সান্নিধ্যে ছিল যথা সম্ভব দেখভাল দায়িত্ব পালন করেছি এবারও করবো ।জীবনে কখনোই স্বার্থপর হতে পারিনি পারবোও না।