1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের ৫৬ তম সভা অনুষ্ঠিত ‎দুমকি কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে কৌশল ও সুবিধা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত কটিয়াদি বাজার বণিক সমিতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত কলারোয়া উপজেলার ৭নম্বর চন্দনপুর ইউনিয়ন অস্বাস্থ্যকর আইসক্রিম উৎপাদনে টাস্কফোর্স অভিযানে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বাংলাদেশে ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির বরিশাল শাখার সহ সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতা পলাশবাড়ী পৌরসভার ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ও সাধারণ বাজেট ঘোষণা মাদারীপুরের শিবচরে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশু বটিয়াঘাটা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকারি ভরাটী খাল ও নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে সরেজমিনে পরিদর্শন ঘরে ঢুকে নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা, যুবককে হত্যা বগুড়া প্রেসক্লাব নির্বাচনে শামীম হোসেন সদস্য পদে নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা

৩০ শে জুন (১৭০ তম) সাঁওতাল বিদ্রোহী দিবস

বাবুলাল মার্ডি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

উত্তরবঙ্গ,পশ্চিমবঙ্গ ও  বিহারের কিছু অঞ্চলকে এক সময় সাঁওতাল পারগানা পরিষদ বলা হতো। সাঁওতালরা ছিল সততা খুবই দরিদ্র ও গরীব জনগোষ্ঠী। মূলত চাষের কাজে খাটানোর জন্য পশ্চিম ভারত থেকে সাঁওতালদের নিয়ে এসেছিল জমিদারেরা। অরণ্য প্রকৃতির কোলে অভ্যন্ত হলেও সাঁওতাল পারগানায় তাদের স্থানীয় জমিদারদের জমিতে বেগার খাটতে হতো। কিন্তু তারা মজুরী পেত সামান্য । আর সেই সামান্য মজুরি দিয়ে তাদের সংসার চলে কোনো রকম।  সাঁওতালেরা তাদের সামান্য মজুরি দিয়েও কাজ করে থাকে। আর সে সামান্য মজুরি আদায় করতে অনেক কষ্ঠে স্বীকার হন তারা। তবুও  সঠিক সময়ে পায় না। ইংরেজ শাসনকালে জমিদারদের অত্যাচার বেড়ে যাওয়ায় এক সময় ১৮৫৫ সালের দিকে তারা প্রতিবাদী হয়ে উঠে। ১৮৫৫ সালের ৩০ শে জুন দুই ভাই সিধু আর কানুর নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় সভা করে প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল বিদ্রোহ শুরু করে। বিদ্রোহ প্রতিহত করতে জমিদারদের পাশে এসে দাড়াঁতে ইংরেজ সৈন্য ও তাদের পুলিশ। ফলে অচিরেই বিদ্রোহীদের মুখোমুখী হতে হয় ইংরেজ সৈন্য ও সরকারের। বিদ্রোহীর বিষাক্ত তীর আর ধনুক দিয়ে যুদ্ধ করে বারবার উন্নত অস্ত্রসজ্জিত ইংরেজ বাহিনীকে পরাজিত করে। সাঁওতালদের ঐক্য দেখে প্রতিবেশী হিন্দু- মুসলিম সাধারণ বাঙালীরাও তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। সাঁওতালদের যখন দমন করতে পারছিল না তখন ইংরেজ সেনাপতি মেজর বাবোজের নেতৃত্বে বিরাট বাহিনীর কামান বন্দুক নিয়ে আক্রমন করে  সাঁওতাল বাহিনীকে। সিধু ও কানুর নেতৃত্বে সেদিন ইংরেজ বাহিনীকে পরাজিত ও ধ্বংস করে সাঁওতালেরা বিজয়ী হয়েছিল। ইংরেজ বাহিনী পরাজিত হবার পর আরো বড় সৈন্যবহর নিয়ে বিদ্রোহদের দামাতে আসে। কিন্তু সাঁওতাল নেতা সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব এর নেতৃত্বে যে প্রতিরোধ হয় তাতে ইংরেজ বাহিনী অনেক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে  ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বারবার এভাবে পরাজয় হয়ে শেষে ইংরেজরা  বিশাল বাহিনী তৈরি করে সাঁওতাল বিদ্রোহের গ্রাম গুলোতে নির্মম ভাবে আক্রমণ চালায়। বিদ্রোহের সময় এক জমিদারের ৫০টি হাতিকে উত্তোজিত করে সাঁওতাল গ্রামে গ্রামে তান্ডব চালানোর  জন্য  ছেড়ে দেওয়া হয়। সাঁওতাল গ্রামের বাড়ি- ঘরে আগুন লেগে দেওয়া হয়। আত্মরক্ষার ভয়  ও ব্যস্ত সাঁওতাল অসুস্থ  মানুষ, বৃদ্ধসহ শিশু ও মহিলাদের নির্বিচারে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করা হয়। এভাবে কাপুরুষের মতো নিরীহ নারী-পুরুষ  হত্যা ও গণহারে  বাড়ীঘর জ্বালিয়ে তারা এই বিদ্রোহ ধীরে ধীরে প্রশমিত করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস বাংলাদেশের  মধ্যেও জয়পুরহাট, রাজশাহী, নওগাঁ,ঠাকুরগাঁও,
পঞ্চগড়,রংপুর ও দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে ৩০ শে জুন (১৭০ তম) সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস- ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ,আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আদিবাসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com