পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামভল্লফ গ্রামে গত শনিবার(৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পরিত্যক্ত ভীটা থেকে ৮ বছরের মরিয়মের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে দশমিনা থানা পুলিশ। মরিয়মকে হত্যার মূল পরিকল্পনা ও হত্যাকারি মরিয়মের মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু, জানানেল জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামভল্লফ গ্রামে মরিয়মকে হত্যার স্থানে সংবাদকর্মীদের প্রেসব্রিফেং এ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, মরিয়কে হত্যার ঘটনায় মরিয়মের বাবা মোঃ মকবুল হোসেন মৃধা বাদি হয়ে দশমনিা থানায় অজ্ঞাত ৫ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেন।
মরিয়মের হত্যার পর দশমিনা থানা পুলিশ ও স্পেশাল পুলিশ পটুয়াখালী বিভিন্ন ভাবে হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করেন। মরিয়মের চাচা সেন্টুকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্য করার কথা স্বীকার করে পরে মহামান্য সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবারবন্দি দেন, মরিয়মের মায়ের সাথে আত্মীয়-স্বজনদের দীর্ঘদিনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও মামালা চলোমান। তাদের ফাঁসানোর জন্য অনেক দিন থেকে মরিয়মের চাচা ও মা পরিকল্পনা করে আসছে।প্রথম পরিকল্পনা ছিলো মেঝো মেয়েকে ধর্ষন করাবে কিন্তুু ধর্ষন মামলা দিলে বিবাহ দিতে পরবেনা তাই ওই পরিকল্পনা বাদ দেয়।
দ্বিতীয় পরিকল্পনা ছোট মেয়ে মরিয়মকে হত্য করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাবে। দ্ধিতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার ( ১ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ছোট মেয়ে মরিয়মকে হত্যার পরিকল্পনা করে, মরিয়মের মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু। ওই হত্যা বিরোধীয়দের উপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা মোতাবেক (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আলালের ঘর থেকে মরিয়ম বের হবার পর মা বলে চল বিশ্বাস বাড়ি বেরাত যাবো মাঝ পথে গিয়ে বলে বাড়িতে পুলিশ এসেছে আমরা ভিটায় গিয়ে চুপচাপ থাকি এ কথা বলে বাড়ির উত্তর পাশের নির্জন ভিটায় নিয়ে যায় সেখানে সেন্টু আগে থেকে উপস্থিত ছিলো।
মরিয়মকে নিয়ে যাবার পর সেন্টু প্রথমে লাঠিদিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং মরিয়ম চিৎকার করাতে না পারে সে কারনে মা রিনা বেগম মুখের মধ্যে ওরনা দিয়ে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। সেন্টুর স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি মূলে ওই লাঠি মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয় এবং মরিয়মের মা রিনা বেগমকে আটক করা হয়। সেন্টুকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং মরিয়মকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে সেখানে মরিয়মের মা রিনা বেগমকে সাথে করে নিয়ে এসেছি ঘটনার বিবরন জানা জন্য। মরিয়মের হত্যার সাথে আরো কেহ জড়িত আছেকিনা সে বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।এবিষয়ে দশমিনা থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো,নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, মরিয়ম হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু মৃধাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।