1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামকে মাদকমুক্ত ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত চিরিররবন্দরে উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু আটক চাঁদাবাজ রিয়াদে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী; চাঁদা না দিলেই শুরু হয়ে রিয়াদের মামলা বাণিজ্য কুড়িগ্রামে অটোরিকশা ও ডাম্প ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ বগুড়া শাহজাহানপুরে ২৫ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ শামিম ও লিয়ন গ্রেফতার কেন্দুয়ার নিখোঁজ সাবেক ছাত্রদল নেতার বাড়িতে বিএনপি নেতা ড.রফিকুল ইসলাম হিলালী খুলনা জেলা বিএনপি নেতা মোমরেজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার: থানায় জিডি, তীব্র প্রতিবাদ শিবগঞ্জে তথ্য সংগ্রের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের লাঞ্ছিত ও প্রতারনার চেষ্টা কুড়িগ্রামের ভুরুংগামারীতে ট্রাক-মাহিন্দ্রার সংঘ নিহত ২,আহত ৪ আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জোরপুর্বক তুলে নেয়ার চেষ্ট, দুটি ককটেল বিষ্ফোরণ -আহত ১০

৯ বছর বয়সি কিশোরীর উপর শারীরিক নির্যাতন

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে
আমরা গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি যে একজন ৯ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী, জামজাম ইসলাম রিতুল, ঢাকার মিরপুরে তানযীমুল উম্মাহ মাদ্রাসায় চারজন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর হাতে দুই ঘণ্টা ধরে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়। তার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই হামলাকারীরা তার কাছ থেকে ২০০০ টাকা দাবি করে। সে দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তাকে একটি কক্ষে আটকে ফেলে এবং স্টিলের স্কেল ও প্লাস্টিকের ঝাড়ু দিয়ে মারধর করে।
আমরা আরো জানতে পেরেছি যে রিতুল চিৎকার করে সাহায্য চাইলে এবং সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে থাকা এক শিক্ষককে ডাকলেও কেউ তাকে বাঁচাতে আসেনি। নির্যাতনকারীরা পিটিয়ে তাকে গোসল করিয়ে আঘাতের চিহ্ন লুকানোর চেষ্টা করে এবং পরে তার রুমে পাঠিয়ে দেয়, হুমকি দেয় যেন সে কারও কাছে কিছু না বলে। দীর্ঘ এই নির্যাতনের সময় কোনো শিক্ষক বা মুহতামিম রাতুলকে বাঁচাতে আসেননি।
পরদিন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না করে রাতুলকে । কোনো চিকিৎসা ছাড়াই তাকে রেখে দেওয়া হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে এক শিক্ষকের ফোন থেকে তার পরিবারকে কল করতে বাধ্য করে, যাতে সে বলে যে আসন্ন প্রতিযোগিতার কারণে শুক্রবার বাসায় যেতে পারবে না।
তার পরিবার শুরুতে বিষয়টি সন্দেহ করেনি। তবে রিতুল কৌশলে তার ভাইয়ের ফোন নম্বর এক সহপাঠীকে দেয়, যে পরে এক শিক্ষকের ফোন ধার নিয়ে রাত ৯:৩০ টায় রিতুলের ভাইকে কল করে মাদ্রাসায় আসতে বলে।
কিছু একটা হচ্ছে বুঝতে পেরে রাতুলের ভাই দ্রুত মাদ্রাসায় গিয়ে দেখে যে সে ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, নড়াচড়া করতে পারছে না। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এই ২৫ ঘণ্টার মধ্যে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ একবারও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তারা সম্পূর্ণ উদাসীনতা দেখিয়েছে শিক্ষার্থীদের কল্যাণের বিষয়ে। যখন পরিবারের পক্ষ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়, তখন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এমনকি, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চেয়ারম্যান ফোনে বিষয়টি উড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাকি বলেছেন যে তিনি তার ছেলেকে প্রতিযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তাই আসতে পারেননি। আর চেয়ারম্যান জানান যে তিনি হজে যাচ্ছেন, তাই এতে জড়িত হবেন না।
ভুক্তভোগীর পরিবার মাদ্রাসার অবহেলা, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার প্রচেষ্টা এবং সম্পূর্ণ দায়িত্বহীনতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা এখন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে, যেহেতু তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com