আলুর ভরা মৌসুমেও গত বছরের তুলনায় এবার খুলনার মহানগরীর আড়তগুলোতে জোগান খুব কম। কদমতলা আড়তে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে। আলুর দামও গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এর আগের বছর আলুর মৌসুমে প্রতি কেজি পাইকারি বাজারে গড়ে ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হয়। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকা। তবে মূল্য বাড়ার সঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আড়তদার ও বেপারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যোগান এ বছর কম।
গত বছর মৌসুমে আড়ত গুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৮ – ১০ ট্রাক আলু আসলেও এবছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ – ৫ থেকে পাঁচ ট্রাক। রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুর এবং রংপুর মূলত এই ৪ জেলা থেকে খুলনার আড়তে আলু নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে সেসব সরবরাহ করা হয় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কিন্তু এবার এ সকল জেলায় ফলন ভালো হয়নি। এ সব জেলা থেকে আলু খুলনায় নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরা জানান, ২০২৩ সালে আলু রপ্তানি কম হওয়ায় চাষের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে কৃষকেরা। তাছাড়া সার, কৃষি উপকরণ এবং কৃষি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি সহ বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ বছর আলুর ফলন ভালো হয়নি।
রংপুর থেকে কৃষকদের কাছ থেকে আলু সংগ্রহ করে খুলনার বাজারে নিয়ে আসা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় এ বছর ফলন খুবই নাজুক। তাছাড়া সরকার ভারত থেকে আলু আমদানি করার অনুমতি দেওয়ায় আতঙ্কিত কৃষকেরা তাদের আলু কোল্ডো স্টোরে সংরক্ষণ করে রাখছে।
এছাড়া নগরীর রুপসা সন্ধ্যা বাজার এবং নতুন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে আলু কিনতে আসা সাধারণ ক্রেতাদের চোখে মুখেও ছিল আতঙ্ক। বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রায়হান বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হওয়ায় আলুর দাম কিছুটা কমেছে। তবে সরকার বাজারে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দাম আবারও বাড়বে।