1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁয় দীর্ঘ ২৫ দিনেও নেই কোন অগ্রগতি গৃহবধূ আত্নহত্যার প্ররোচনা মামলায় জামালপুরে যমুনা-ব্রহ্মপুএ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৭৭ সেন্টিমিটার বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতে অভিযোগে নগদ একাউন্ট আলহেরা এজেন্সি বাতিল তিস্তা ব্যারেজের বাঁধে ধস ভোলার দৌলতখানে এইচএসসি পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় শিক্ষার্থীর আ’ত্মহ’ত্যা নিয়ামতপুরে রাতের আধারে কৃষক কে তুলে নিয়ে গেল দূর্বৃত্তরা সবুজ সংঘের আয়োজনে হাফেজ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রাদন প্লাস্টিকের নৌকা তৈরি করে পুরো এলাকায় সাড়া ফেলেছেন সিলেটের এক যুবক শ্রীমঙ্গলে কৃষি উপকরণ বিতরণ করলেন কৃষিমন্ত্রী নওগাঁয় গ্রাহকের ১২ কোটি টাকা নিয়ে সূর্যমুখী সমবায় সমিতি উধাও

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চ বানানোর নামে বৃক্ষ নিধন

তানভীর হক শাকিল
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

দুই যুগের পুরোনো একাধিক গাছ কেটে মঞ্চ তৈরি করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। তবে তারই পাশে ফাঁকা জায়গা সত্বেও প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। এদিকে মঞ্চটি ঠিক দুই ভবনের মাঝে হওয়ায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা ব্যাহত হবে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিনিয়র শিক্ষকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের মাঝে ‘বৈশাখী মঞ্চ’ তৈরি করছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ওই মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ফলে তিনটি পুরোনো গাছ কাটা হচ্ছে। দুই যুগ আগে নিজস্ব অর্থায়নে সেই গাছগুলোসহ প্রায় ১১০০ গাছ লাগিয়েছিলেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুঈদ রহমান। তিনিও বিষয়টি তার জন্য বিব্রতকর বলে জানিয়েছেন।

এদিকে গাছ কাটার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তাদের দাবি, দুই একাডেমিক ভবনের মাঝে মঞ্চ হলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা চরমভাবে ব্যহত হবে। কর্তৃপক্ষ চাইলে ভিন্ন কোনো জায়গায় এই মঞ্চ করতে পারতো। এছাড়া মঞ্চ তৈরির জন্য পুরোনো গাছগুলো কাটার কোনো মানে হয় না। প্রশাসন এর আগেও উন্নয়নের নামে অনেক গাছ কর্তন করেছে। গাছ কাটলেও পরবর্তীতে আর নতুন করে কোনো গাছ লাগানো হয় না।

এদিকে গাছ না কাটার অনুরোধ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, প্রকৌশল অফিস ও প্রক্টরের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন অভয়ারণ্য’র সদস্যরা। সংগঠনটির সভাপতি ইশতিয়াক ফেরদৌস ইমন বলেন, সর্বশেষ একটি গাছ কাটার বাকি ছিল। আমরা সেটা আটকানোর জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের মর্মাহত করেছে। আমরা এ বিষয়ের তীব্র নিন্দা জানাই।

পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমন বলেন, আমরা প্রক্টর অফিসে কথা বলেছি। আমাদের বলেছে মৃতপ্রায় গাছ কাটা হচ্ছে। কিন্তু আমরা গিয়ে দেখলাম সবগুলো গাছ জীবিত। গাছ কেটে মঞ্চ তৈরি করা কোনোভাবে সুখকর নয়। অনেকস্থানে ফাঁকা জায়গা আছে সেখানেও মঞ্চ তৈরি করা যায়।

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুঈদ রহমান বলেন, ২৪ বছর আগে নিজস্ব অর্থায়নে এই গাছগুলো লাগিয়েছিলাম। বিষয়টি শুনে আমার খুব কষ্ট লেগেছে। ব্যাপারটা আমার জন্য বিব্রতকরও। গাছ না কেটে ভিন্ন কোনো ফাঁকা স্থানে মঞ্চ করতে পারতো।

ধর্মতত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আমি নিরুৎসাহিত করছি না। তবে ক্লাস-পরীক্ষার সময়ে এসব জায়গায় অনুষ্ঠান করা উচিত না। এছাড়া একাডেমিক ভবনগুলোকে ঘিরে না করে অন্য স্থানে করা উচিত।

প্রধান প্রকৌলশী (ভারপ্রাপ্ত) কে এম শরীফ উদ্দীন বলেন, ওই জায়গায় মঞ্চ করলে গাঠ কাটা ছাড়া উপায় ছিল না। গাছগুলো মরা। যেকোনো সময় ডাল ভেঙ্গে পড়তে পারতো। এছাড়া গাছ জীবিত থাকলেও মঞ্চ করলে শিকড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ডিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেই গাছ কাটা হয়েছে। কোনো কাজের প্রয়োজন হলে গাছ কাটাই লাগে। প্রয়োজনে পরবর্তীতে সাড়ি সাড়ি করে গাছ লাগিয়ে দিব।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com