নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ প্রদত্ত ‘কাহ্নপা সাহিত্য পদক ২০২৪’ পাচ্ছেন ২ জন। এ বছর কবিতায় কবি আমিনুল ইসলাম ও ছোটকাগজ সম্পাদনায় কবি মিজানুর রহমান বেলাল এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
৫ মার্চ দুপুরে নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অরিন্দম মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়ন এ ঘোষণা দেন।
সাহিত্য হলো জাতির দর্পণ। জাতির সংস্কৃতি ও সমাজ জীবনের বাস্তব চিত্র সাহিত্যের মাধ্যমে উঠে আসে বলেই সাহিত্যকে বলা হয় জাতির দর্পণ। পৃথিবীতে এমন কোনো মানব জাতির অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না যে জাতির সাহিত্য নেই। তেমনি আমাদেরও আছে সাহিত্য।
আমরা বাঙালি। বাংলা আমাদের ভাষা। আমরা বাংলায় কথা বলি, বাংলায় লিখি। তাই আমাদের সাহিত্যের নাম বাংলা সাহিত্য। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস হাজার বছরের ইতিহাস। ভাষা ও সাহিত্যের সাথে একটি বিরাট যোগসূত্র রয়েছে। সাহিত্য ভাষাকে পরিবর্তন করে বদলে দেয়।
আজ বেলা ১১টায় নওগাঁ প্রেসক্লাবে লেখক সম্মেলন ও কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক গোলাম মাওলা।
উদ্বোধনী পর্বের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা নওগাঁ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। কবি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মাহফুজ ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা তাইফুর রহমান, রাজশাহী কবিকুঞ্জর সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক, কথাসাহিত্যিক বরেন্দ্র ফরিদ প্রমুখ।
আজ ৮ই মার্চ সাহিত্য পদক লেখক সম্মেলনে উদ্বোধন করা হয় এবং আগামীকাল ৯ই মার্চ তাদের হাতে এ কাহ্নপা সাহিত্য পদক ২০২৪,পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকের জন্য থাকবে নগদ ১০ হাজার টাকা, পদক, সম্মাননাপত্র ও উত্তরীয়।
আয়োজকরা জানান, নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ প্রতি বছর লেখক সম্মেলন করে থাকে। এবার সেখানে বাড়তি সংযোজন হিসেবে কাহ্নপা সাহিত্য পদক যুক্ত হলো। যা বাংলা সাহিত্যচর্চার ধারাকে আরও গতিশীল করবে।
আশরাফুল নয়ন বলেন, ‘চর্যাপদের বিখ্যাত কবি কাহ্নপার নাম অনুসারে এ পদকের নামকরণ করা হয়েছে। চর্যাপদ ও কাহ্নপার সঙ্গে নওগাঁর অবিচ্ছেদ্য ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক তথা ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এ নামকরণ করা হয়েছে। প্রতি বছর এ পদক দেওয়া হবে।