গতকাল বিকেলে মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা এলাকার ১০/১২ জনের মাঝি – মল্লার ছোট একটা ফিশিং বোট সমুদ্রে ফিশিং করে মাছ আহরণের পর তা বিক্রীর উদ্দেশ্য চট্রগ্রামের কর্ণফুলি চ্যালেন হয়ে ফিশারি ঘাটের সামনে কর্ণফুলির মোহনায় নোঙ্গর করে এবং রাত শেষে মাঝি জনাব বদিউল আলম বোট থেকে নেমে ফিশারি ঘাটে যায় মাছ বিক্রীর জন্য।
ঘাটের৷ মাছ ব্যবসায়ী ও গদিওায়ালাদের সাথে দরদাম বনিবনা না হওয়ায় মাঝি দুপুর ১২ টা নাগাদ বোটে ফিরে আসে। এবং খাওয়া- দাওয়া শেষ করে সবাই কেবিন ঘরে শুয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাখানেক পর মাঝির শরীরে আগুনে তাপ লাগলে তিনি চিৎকার দিয়ে উঠেন কিন্তু ততক্ষণ আগুন পুরো বোটে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের চিৎকারে ঘাট থেকে লোকজন সাতরিয়ে গিয়ে প্রায় আধ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। কিন্তু এই অল্প সময়ের আগুনে তিনজন নাইয়্যার শরীরের প্রায় অংশ পুড়ে যায়। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান।
বোটে আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে, মাঝি বদি বলেন, ফিশারি ঘাটের ওখানে প্রচুর চোর থাকে। এটা চোরদের কাজ বলে তিনি দাবী করেন। এ ব্যাপরে চট্রগ্রাম কোতয়ালী থানায় একটি লিখিত আভিযোগ ( জিডি) করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেেখ করেন।