লালমনিরহাট জেলা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন শত শত ভারতীয় গরু চোরাই পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ওইসব গরু জেলার বিভিন্ন হাটে প্রকাশ্য বিক্রি হলেও রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন। গরু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট।
সূত্রে জানা যায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন দেবদেবীর বাজারে দিয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার করে সন্ধা ও গভীর রাতে চোরাচালান কারবারি ভারতীয় গরুগুলো যাতায়াত করে থাকেন।
আরও জানা গেছে, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতকে পুঁজি করে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার পাশাপাশি হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া, দোলাপাড়া, বড়খাতা, সিঙ্গিমারী, কানীপাড়া, গেন্দুকুড়ি, দইখাওয়া, আমঝোল, ঘুটিয়ামঙ্গল, জাওরানী, দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন শত শত ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে কাটাতারের বেড়া কেটে এসব গরু বাংলাদেশে নিয়ে আসছে চোরাচালানকারীরা।
বাংলাদেশে আনার পর লাইনম্যানের মাধ্যমে পাটগ্রাম হাট, হাতীবান্ধার বড়খাতাহাট, দইখাওয়াহাট, কালীগঞ্জের চামটাহাট ও চাপারহাট দুরাকুটিরহাট সহ বিভিন্ন খণ্ডকালীন হাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের কাছে বিক্রি হচ্ছে গরুগুলো।
একটি সূত্র জানায়, যখন প্রশাসনের উপরমহল থেকে চাপ আসে, তখন স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় অসাধু সদস্য গরু ব্যবসায়ীদের সর্তক করে দেয়। পরে লোক দেখানো দুই-একদিন অভিযান চালায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগের মতো চলে চোরাচালান আর গরু ব্যবসা।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন (ক্রাইম এন্ড অ্যাপ্স ) বলেন চোরাচালান কারবারি ভারতীয় গরুগুলো অবৈধভাবে পারাপার না হয় সেদিকে প্রশাসনের নজরদার অব্যাহত রয়েছ। ১৫ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) মেজর সৈয়দ মাসুদুর রহমান এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন না।