ক্লাস চলছে খোলা আকাশের নিচে
শামীম আহমেদ
-
প্রকাশের সময় :
বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
-
৯৫
বার পড়া হয়েছে
হাসিনা সাহিদ মাধ্যমিক মডেল একাডেমীতেশ ক্লাস চলছে খোলা আকাশের নীচে। পাঠদান কার্যক্রমের জন্য ৪০ হাত লম্বা যে টিনের ঘরটি ছিল তা রোববার সন্ধ্যার পর কালবৈশাখীর ঝড়ে লন্ড ভন্ড করে দিয়েছে।
ফলে পাঠদান কার্যক্রমের জন্য আর কোন ঘর না থাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছে খোলা আকাশে নিচেই। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রান মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দ থেকে দুর্যোগ কালীন সময়ে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি একটি একাডেমীক ঘর নির্মানের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ৫ বান্ডিল অর্থাৎ ৮ ফুট লম্বা ৪০ পিছ টিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। টিন পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট কিছু টাকাও বরাদ্দ ছেয়েছেন একাডেমীর প্রধান শিক্ষক।কেন্দুয়ার উপজেলার ৪ নং গড়াডোবা ইউনিয়নের গাড়াউন্দ মাষ্টার বাড়ী প্রাঙ্গনে ২০১০ সালের ১ জানুয়ারী স্থাপিত হয় হাসিনা সাহিদ মডেল একাডেমী। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারী নবম ও দশম শ্রেণীর স্বাকৃতি পায়। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৩ শতাধিক। শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা ১৪ জন। ২ টি টিনের ঘর তাকলেও গত রোববারের কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় চল্লিশ হাত লম্বা টিনের ঘরটি লন্ড ভন্ড করে ফেলেছে। যে একটি ঘর আছে সেটিও খুবই নড়বড়ে।
গত বছর ২০২৩ সালে ৪৩ জন ছাত্র-ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। শতভাগ পাশ করে। এর মধ্যে ৮ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। এ বছর ৫৮ জন ছাত্র-ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফলাফল হবে ১২ মে। একাডেমীর প্রধান শিক্ষক এম. এ সালাম জানান, পিছিয়ে থাকা এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে আমরা জমি দান করে মা বাবার নামে হাসিনা সাহিদ মডেল একাডেমী স্থাপন করেছিলাম। এখন মাধ্যমিক মডেল একাডেমীতে রূপান্তরিত হয়েছে।ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা এবং উপস্থিতিও সন্তোষ জনক। কিন্তু একাডেমীক পাকা ভবন না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ দান কার্যক্রম নিয়ে খুবই অসুবিধায় থাকতে হয়। তিনি সরকারের নিকট একটি ৪ তলা বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মানের দাবি জানান।
এদিকে সোমবার সকালে ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়া স্কুল ঘরটি দেখতে যান কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার। তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে একটি পাকা ভবন খুবই দরকার। আমরা এ নিয়ে উপর মহলে লিখবো।
গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান সোহাগ বলেন, এই কেন্দুয়া উপজেলায় এমনও বিদ্যালয় আছে যেখানে ৩/৪টি পাকা ভবন নির্মিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হাসিনা সাহিদ মাধ্যমিক মডেল একাডেমীতে সরকারের একটি পাকা ভবনও নেই। তিনি এই একাডেমীতে ৪ তলা বিশিষ্ট একটি পাকা ভবন বরাদ্দের জন্য সকল ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানান।
এ বিভাগের আরো সংবাদ