1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‎দুমকীতে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির দায়ে মালিকসহ ব্যবসায়ীকে জরিমানা পাঁচবিবি তে ডিবি পরিচয়দানকারী দুই ভুয়া পুলিশ সদস্য পুলিশের হাতে আটক কয়রায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ঘোষিত দাওয়াতী পক্ষ উপলক্ষে গণসংযোগ নওগাঁ সদর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বান্দরবানে লামায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো মারমা সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই শ্রীপুরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধ্বসে শ্রমিকের মৃত্যু মেয়েকে উত্তক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, নওগাঁ থেকে আটক ২ কালীগঞ্জের বিষ্ণুপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধার আত্মহত্যা সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিজের শিশু মেয়েকে (১১) ধর্ষণের অপরাধে গ্রেপ্তার বাবা

ফরিদপুরে বৃদ্ধা ভিক্ষুকের টাকা মেরে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

নাজিম বকাউল
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪
  • ১৯৩ বার পড়া হয়েছে
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামী হারান ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদি ইউনিয়নের বড় শ্রীবদ্দি গ্রামের ৮২ বছর বয়সি কুটি খাতুন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে লড়াই করে আসছেন তিনি। তবুও করেননি বিয়ে।
পেটের তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন-যাপন করছেন তিনি। বসবাস করছেন প্রতিবেশির ঝুপরি ঘরে। এমন অবস্থায় শেষ বয়সে একটি সরকারি ঘরে মাথা গোঁজার স্বপ্ন দেখেন আর সেই স্বপ্ন পুরণের জন্য গত ২ বছর আগে ভিক্ষা করে জমানো ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে।
তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, এখনো মেলেনি তার সরকারি ঘর। এমনকি ফেরত পায়নি টাকা। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো ভাতার তালিকায় তার নামও ওঠেনি বলে জানা গেছে। অসহায় কুটি খাতুন বড় শ্রীবরদী গ্রামের মৃত ইউসুফ মাতুব্বরের স্ত্রী। ভুক্তভোগী কুটি খাতুনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে গেলে প্রতিবেশীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের বছর মারা যান কুটি খাতুনের স্বামী। তার দুটি ছেলে সন্তান থাকলেও তারা কেউ মায়ের দেখভাল করে না। স্বামীর সম্পত্তি বলতে এক টুকরো ভিটা থাকলেও মাথা গোঁজার মতো ঘর ছিলো না। প্রতিবেশির একটি ঝুপরি ঘরে থেকে ভিক্ষা করে পেট চালান তিনি। বর্তমানে অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে তার জীবন।
ভুক্তভোগী কুটি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে গত ২ বছর আগে চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সাহেব ফকির আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নিলেও ঘর দেয়নি। আমি ঘরের জন্য অনেক ঘুরেছি, লাভ হয়নি। এখন দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছি।
এ ব্যাপারে কুটি খাতুনের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির নাসির খান জানান, ওই বৃদ্ধা মহিলা বারবার আমার কাছে এসে ঘর ও টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। আমি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলেও তিনি গুরুত্ব দেননি।
অভিযুক্ত চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সাহেব ফকির জানান, কুটি খাতুনকে আমি চিনিই না। তবে শুনেছি, সরকারি ঘরের জন্য পাচী নামে এক মহিলা তার আত্মীয়কে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছিলো। সেই টাকা পাচী ফেরতও দিয়েছে। এখন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির জানান, বিষয়টি তদন্ত করে টাকা নেওয়ার প্রমান মিললে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া অসহায় এই মহিলাকে অতি দ্রুত  সরকারী ভাতার আওতায় আনা হবে।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com