নড়িয়ায় ভূমখাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন চাগধ মগদম বাড়ী বাসিন্দা শাহালম মগদম এর মেয়ে সাথি বেগম (২১) নামের এক গৃহ বধুকে ওরনা দিয়ে গলায় ফাস লাগিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
২৬/০৬/২০২৪ ইং বুধবার, বিকেল ৪ টার সময় মৃতের আপন বড় ভাই রমজান তার বোনের বাসায় গেলে ঘরের বাহিরে তালা মারা অবস্থায় দেখতে পায়, এমতাবস্থায় তার ভাসুরকে জিজ্ঞেস করলে সাথী তার বাপের বাড়ি গেছে বলে জানায় ,ভাইয়ের একটু সন্দেহ হলে দরজার উপরের টিনের ফাকা দিয়ে দেখতে পায় জুলন্ত অবস্থায় তার বোনের মত দেখা যায়, সে টিন ভালোভাবে সরিয়ে তার হাতে থাকা ফোনের ফ্লাশ লাইট জালিয়ে ভালো ভাবে দেখে তার বোনকে হাত বাধা অবস্থায় গলায় ওরনা পেচিয়ে চালের কাঠের সাথে জুলিয়ে রাখা হয়।
ভাই রমজান ডাক চিৎকার করলে স্বামী ও ভাসুর ননদ সহ এলাবাসী এসে উপস্থিত হয় এবং তার ভাসুর তালা খুলে স্বামী ও ভাসুর ঝুলন্ত সাথী বেগমকে নামিয়ে খাটে শোয়ানোর পরেই উভয়ই পালিয়ে যায় আস্তে আস্তে শশুর শাশুরী ননদরা সকলেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলে মৃতের বড় ভাই জানায়।বড় ভাই রমজান বলে শামীম প্রায়ই যৌতুকের জন্য আমার বোনকে নির্যাতন করতো তার ননদরাও প্রায়ই মারদর করতো। বিষটি নড়িয়া থানায় জানানো হলে নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এস আই আল- আমিন কে মামলা নিয়ে লাস ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান।
এস আই আল- আমিন এর তত্বাবদানে লাশ ময়না তদন্ত শেষে দাফনের জন্য ২৭/০৬/২০২৪ইং বেলা ১২ টায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়, এবং ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান।গৃহবধু সাথী বেগমের স্বামী শামীম দালাল(২৮) শশুর সেকান্দার দালাল মা পাপিয়া বেগম বড় ভাই শাহিন দালাল সাং দক্ষিন চাকধ লোংশিং থানা নড়িয়া জেলা শরীয়তপুর। বড় বোন শাহিা বেগম মেজ বোন শিউলি বেগম ও ছোট বোন বিউটি বেগম সহ বাড়ির সকল লোকজন পলাতক রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।