চৌগাছার একটি গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়কের উপর থেকে পিচ ইট খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। দীর্ঘ দিন ধরে এই অবস্থা বিরাজ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি এলাকাবাসির।চৌগাছা পৌর এলাকার দামোদার বটতলা হতে একটি সড়ক উপজেলার নারায়নপুর বাজারে যেয়ে মিলিত হয়েছে। বহু আগে সড়কটি পাকাকরণ করা হয়। সময়ের সাথে সড়কটির ইট বালি খোয়া উঠে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
নিদারুন কষ্ট নিয়ে ওই এলাকার শতশত মানুষ সড়কটি ব্যবহার করে উপজেলা সদরে নিয়মিত যাতায়াত করছেন। ভাঙ্গা সড়কে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বয়োবৃদ্ধ, রোগী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া কৃষক তার উৎপাদিত ফসল ভাঙ্গা চোরা সড়কের কারনে সময়মত নিতে পারছেন না বাজারে ফলে কাংখিত দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।গতকাল সড়কে যেয়ে দেখা যায় থেমে থেমে সড়কের উপর হতে উঠেছে পিচ সেই স্থান গুলো সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। ভারি কোন যানবাহন না চলাচল করলেও ব্যাটারী চালিত ভ্যান ইজিবাইক থিহুইলার মটরসাইকেল নিয়মিত চলাচল করে।
এই সকল বাহনের চালকদেরকে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে ভাঙ্গা সড়কের কারনে যানবাহন প্রায় দিনই হচ্ছে বিকল বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে নিন্ম আয়ের মানুষদেরকে।এ সময় সড়কে চলাচলরত ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, বহু আগেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে কিন্তু মেরামতের কোনই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। এতে করে আমাদের সড়কে চলতে বেগ পেতে হচ্ছে নষ্ট হচ্ছে বাহন।
ভ্যান চালক আব্দুর রশিদ জানান, সড়ক ভাঙ্গা থাকায় যাত্রী উঠতে চাইনা, ভাঙ্গা সড়কে ভ্যানে বেশি ঝাকুনি লাগে মুলত এই কারনে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে, কমেছে রোজগার বেশ কষ্টে আছি। পেটভরা গ্রামের কৃষক আব্দুল গনি বলেন, সড়কটি যে সময়ে নির্মান করা হয়েছে তখন নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, তাই ভাঙ্গার আগেই তা ভেঙ্গে গেছে। মাঠে সব ধরনের ফসল ফলানো হয়, সড়কটির বেহালদশায় বেশি খরচ করে বুন্দলীতলা হয়ে সবজি চৌগাছা বাজারে নিতে হচ্ছে। তিনি সড়কটি দ্রত মেরামতের অনুরোধ করেন। হাজরাখানা গ্রামের ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান বলেন, চৌগাছা বাজারে তার গার্মেন্টসের দোকান আছে।
সে কারনে প্রতিদিন সকালে বাজারে যেতে হয় আর রাতে ফিরতে হয় বাড়িতে। সড়ক নষ্ট হওয়ায় অনেক কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। স্কুল কলেজগামী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ভাঙ্গা সড়কের কারনে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। সময় মত মিলছে না বাহন যার কারনে প্রতিষ্ঠানে যেতে দেরি হচ্ছে। বাইসাইকেলে চলাচলও ঝুকিপূর্ণ বলে তারা মনে করছেন। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সড়কটির পাশ দিয়ে কংশারীপুর, টেংগুরপুর, হাজরাখানা, পেটভরা, নারায়নপুরসহ একাধিক গ্রাম অবস্থিত।
এ সব গ্রাম সবজি ও ফল চাষের জন্য বিখ্যাত। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা থাকায় চাষিদের অনেক কষ্টে উৎপাদিত পন্য বাজারে নিতে হচ্ছে। এলাকার কোন মানুষ যদি হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে তাকে হাসপাতালে নিতে যেয়ে ভুক্তভোগীরা যে কষ্ট পোহাচ্ছে তা চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি করেন স্থানীয়রা।উপজেলা প্রকৌশলী রিসায়াত ইমতিয়াজ বলেন, সড়কটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। নতুন অর্থ বছরে কাজ শুরু হলে দ্রুতই মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।