গতকাল সোমবার (১লা জুলাই) সংবাদ সংগ্রহের সময় ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম কতৃক সময় সংবাদের জেলা প্রতিনিধি লোটাস রহমান সোহাগ লাঞ্ছিত ও ক্যামেরার মেমোরী কার্ড ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২রা জুলাই) সকাল ১১ টায় ঝিনাইদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জেলায় কর্মকর্তা সাংবাদিক ছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি একুশে টিভির প্রতিনিধি এম রায়হান, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান বাবলু, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএ টিভির প্রতিনিধি ফয়সাল আহমেদ, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক যমুনা টিভির প্রতিনিধি আহম্মেদ নাসিম আনসারী, সাবেক সভাপতি কালের কন্ঠের প্রতিনিধি এম সাইফুল মাবুদ, সাবেক সাধারণ এটি এন বাংলার প্রতিনিধি সম্পাদক নিজাম জোয়ারদার বাবলু, কালবেলা’র ব্যুরো প্রধান মাহমুদ হাসান টিপু, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান,ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির সভাপতি শাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আর টিভির প্রতিনিধি শিপলু জামান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার আসিফ ইকবাল কাজল, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর’র জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন,ঝিনাইদহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শাহিদুর রহমান সন্টু, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি স্বপন মাহমুদ, বিহঙ্গ সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর আলম লিটন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ মিজান, উদিচীর জেলা সভাপতি কে এম শরিফ, সহ-সভাপতি শামীম আহম্মেদ, উপদেস্টা স্বপন বাগচী, জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও একাত্তর টিভির প্রতিনিধি রাজিব হাসান।মানববনন্ধনে শৈলকুপায় সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী আলমগীর অরণ্য’কে কুপিয়ে যখন করার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে একই কর্মসূচী পালন করে উদিচী’র নেতৃবৃন্দ। বক্তারা সাংবাদিক লাঞ্ছিত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলামের প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে পরবর্তীতে কঠিনতর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেসক্লাব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।